• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    প্রথম ইনিংসের রেসিপিই অনুসরণ করতে চান মিরাজরা

    প্রথম ইনিংসের রেসিপিই অনুসরণ করতে চান মিরাজরা    

    চতুর্থ দিন শেষেও ভুরু কুঁচকে বলতে হচ্ছে, এই কি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড টেস্টের সেই উইকেট?

    সর্বশেষ তিন টেস্টে মিরপুরে খেলা গড়ায়নি পঞ্চম দিনে। চতুর্থ দিনের শেষ পর্যন্তও যায়নি একবারও। অথচ এই টেস্টের খেলা তো পর্যন্ত গড়িয়েছেই, ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলারও সম্ভাবনা আছে জিম্বাবুয়ের। অন্তত এখন পর্যন্ত উইকেট যেমন আচরণ করছে, তাতে কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।

    চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে যা হয়েছে, তাতেই একটু আশা দেখতে পারেন তাইজুল-মিরাজরা। শেষ বিকেলে কিছু বল হুট করে লাফিয়েছে, কয়েকটা বড় টার্ন নিয়েছে। কিন্তু এখনও সেভাবে নিচু হয়ে যায়নি খুব বেশি বল। মিরাজও আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে তা মানলেন,  ‘আমাদের যে জিনিসটা করতে হবে আমাদের বোলারদের ভালো জায়গায় বল করতে হবে। কারণ উইকেট কিন্তু‘ এখনও দেখেন চারদিন শেষ হয়ে গিয়েছে ওরকম বল লো হচ্ছে না। বা এক্সট্রা অনেক কিছু হচ্ছে না দুই-একটা ছাড়া।’

    উইকেট যে ব্যাটসম্যানদের জন্য ভালো, সেই প্রমাণ সকালেই পেয়েছে বাংলাদেশ। জার্ভিস-টিরিপানোর বলে বাংলাদেশের টপ অর্ডার উইকেট দিয়ে আসার পর মাহমুদউল্লাহ-মিঠুনদের তেমন কোনো পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেননি জিম্বাবুয়ের স্পিনাররা। ৪৪৩ রানের লক্ষ্যে জিম্বাবুয়ে এখন ড্রয়ের চেষ্টাই করবে। মিরাজ স্বাভাবিকভাবেই মনে করছেন, বাংলাদেশের জয়ের দিকেই পাল্লাটা বেশি হেলে আছে, ‘এখন পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের দিকেই আছে। আমরা অলমোস্ট ৪৪৩ রান টার্গেট দিছি। ২ উইকেট পড়েছে। কালকের একটা দিন আছে। তিনটা সেশন আছে। আশা করি বোলাররা যদি ভালো জায়গায় বল করতে পারে, টাইট লেংথে বল করতে পারে তাহলে ম্যাচটা আমাদের দিকেই আছে অবশ্যই।’

    কিন্তু কাল কি বাংলাদেশ টার্নের চেষ্টা করবে নাকি প্রথম ইনিংসের রেসিপি মেনে সোজা বল করবে? প্রথম ইনিংসে তাইজুলের সোজা বলই বুঝতে পারেননি উইলিয়ামসরা। কাল বাড়তি টার্ন মিলবে কিছুটা, কিন্তু কতটা সেটাই প্রশ্ন। মিরাজ বলছেন, তারা স্টাম্প ধরেই বল করে যেতে চান, ‘আজ কিছু কিছু সময় উইকেট ভিন্ন আচরণ  করেছে। কালকে উইকেট আরও চেঞ্জ হবে। আরও আচরণ করবে। সো আমাদের টার্গেট থাকবে স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বল করা। তাহলে আরও সুযোগ থাকবে।’ 

    জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ভালো একটা জুটি গড়ার সময় বাংলাদেশ হতাশার একটা সময়ই পার করছিল। মিরাজ বলছেন, সেসময় তারা আস্থা হারাননি,  ‘এই উইকেটে একটা জুটি হতেই পারে। কিন্তু একটা উইকেট গেলে কিন্তু পর পর উইকেট পড়তেই থাকবে। রিয়াদ ভাই - মুশফিক ভাই এটাই বলেছে, জুটি হলে প্যানিক হওয়ার কিছু নেই। জাস্ট ভাল জায়গায় বল করে যেতে হবে,  একটা ব্রেক থ্রু আসলেই ওরা ব্যাক ফুটে চলে যাবে।’

    কাল সকালে এই ফর্মুলাতেই বল করতে চাইবে বাংলাদেশ। দুই দিক থেকে স্পিনে টেলর-উইলিয়ামসকে চেপে ধরে ফেরাতে হবে তাদের। সেজন্য মিরাজ-তাইজুলরা মিরপুরের উইকেট থেকে কতটা সাহায্য পাবেন, সেটাই এখন প্রশ্ন।