• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    'সেরে উঠতে এক মাসও লাগতে পারে, ছয় মাসও লাগতে পারে'

    'সেরে উঠতে এক মাসও লাগতে পারে, ছয় মাসও লাগতে পারে'    

    কথাগুলো ঠিক নতুন কিছু নয়। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে বা সেখান থেকে যা জানিয়েছেন, সেটাই আবার বলেছেন। বাঁ হাতের আঙুলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর, সেটার চিকিৎসার জন্য আজ অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেছেন দেশে। তবে মাঠে কবে ফিরবেন, সেটা এখনো স্পষ্ট করে বলতে পারলেন না। আশার কথা, আগে তিন মাসের আগে ফিরতে পারছেন না এমন কথা বলেছিলেন। তবে আজ আভাস দিলেন, তার আগেও ফিরতে পারেন মাঠে।

    দেশ ছাড়ার আগেই সাকিব বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে অস্ত্রোপচার করানো যাবে না। আজ পুনরাবৃত্তি করলেন সেটিরই,  ‘সার্জারি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে করা যাবে না। করা যাবে না কারণ, সংক্রমণ যদি হাড়ের ভেতরে থেকে থাকে সেটা আসলে সরার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওখানে রক্ত যায় না। যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিক রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়..যেখানে রক্ত যায় না সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে কাজ করবে। সো এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কোনো সার্জারি করা যাবে না। বাট ভালো দিক হচ্ছে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারি করার সুযোগ নেই…আমি বলেন আর ফিজিওর পরামর্শে বলেন ওই দিকটা চিন্তা করা হচ্ছে যে সার্জারি বাদে কিভাবে খেলা যায়।’

    আপাতত কখন মাঠে ফিরছেন, সেটাও স্পষ্ট করে বলতে পারলেন না, ‘এটা আসলে এমন একটা সমস্যা যেটার আসলে কোনো সময়সীমা নাই। হতে পারে যে সামনের মাসেও খেলতে পারি। এখন আমার হাতে ব্যথা নেই। খুব ভালো অনুভব করছি।’

    আপাতত হাতের শক্তিটা ফিরে পাওয়াটাই সাকিবের কাছে গুরুত্বপূর্ণ,  ‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার হাতের শক্তিটা কতক্ষণে ফিরে আসে। রিহ্যাবের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। যদি আসে তাহলে  সামনের মাসেও খেলতে পারি। আবার রিহ্যাবের পর যদি ব্যথা অনুভব করি তাহলে আবার অপেক্ষা করতে হবে যে কখন সার্জারি করতে পারব। এটা আসলে খুব অনিশ্চিত। আবার একটা জিনিস ভালো যে সংক্রমণ হওয়ার পর এখন সেটা কমে গেছে। এখন সার্জারি বাদেও খেলা যেতে পারে। যদি সেটা হয় তাহলে সেটা হবে সবথেকে ভালো অপশন। বাট এটা আসলে কনফার্ম বলাটা মুশকিল। বললাম যেটা, হতে পারে একমাস পরেও খেলতে পারি আবার ছয় মাসও লাগতে পারে। আশা করি একমাস পরই খেলতে পারব। তারপরও যেহেতু শক্তি আসার ব্যাপার আছে। একমাস হয়তো হবে না। একটু সময় বেশিই লাগবে। ’

    স্বাভাবিকভাবেই চোটের পর সাকিবের আঙুল আগের অবস্থায় কখনো যাবে না। তবে তার মানে যে খেলতে অসুবিধে হবে না, সেটাও স্পষ্ট করে দিলেন সাকিব,’চোটের পর আঙুল স্বাভাবিকভাবেই আগের অবস্থায় যাবে না।  শতভাগ আর ঠিক হবে না সেটা তো সত্যি কথা। যেটাই করুক এটা শতভাগ ঠিক হবে না। এরকম অনেকেরই আছে। আর ঠিক না হলে যে খেলতে পারবে না এমনটাও নয়।’

    আপাতত সাকিব করে ফিরবেন, সেই উত্তর সময়ের হাতেই তোলা রইল।