• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    'ব্যাকফুটে' থেকে 'চাপমুক্ত' অবস্থায় লিটন

    'ব্যাকফুটে' থেকে 'চাপমুক্ত' অবস্থায় লিটন    

    জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে অনুশীলনে লিটন দাস/বিসিবি


    মাশরাফি বিন মুর্তজা ড্রেসিংরুম থেকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন, ইনিংস বড় করতে। লিটন দাসের ফিফটি হয়েছে মাত্র, হঠাৎ ওপেনার বনে যাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটিটাও জমেছে। লিটন পরের বলেই তুলে মারতে গেলেন, পেলেন জীবন। ওয়ানডের প্রথম ফিফটিটাই সেঞ্চুরিতে রুপান্তর করলেন পরে। 

    ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী ছিলেন এশিয়া কাপে, তবে লিটন দাস তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন শুধু প্রথম ম্যাচেই। তামিমের চোটে বদলে গেল ওপেনিং জুটি, আর বাড়লো দুর্দশা। লিটন ফর্মে ফিরলেন, ফাইনালে গিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তার, লিটন যেন সেদিন দিয়েছিলেন অনেক প্রত্যাশাপূরণের ইঙ্গিত। 

    একটা বড় ইনিংস তার কাছ থেকে যেন চাওয়া ছিল খুব করে। লিটন অবশ্য এশিয়া কাপ ফাইনালের সেই ইনিংসকে ক্যারিয়ার বদলে দেওয়ার মতো কিছু হিসেবে দেখছেন না, “আমার কাছে এতটা মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় প্রতিদিন প্রতিটা ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা সত্যি, একটি ম্যাচ অনেকের ক্যারিয়ারে অনেক প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু আমাকে পরের ম্যাচে কিন্তু আবার শুন্য থেকেই শুরু করতে হবে। আমার চেষ্টা শুন্য থেকে বড় কিছু করা। ওটা নিয়ে এখন আশা করে বা চিন্তা করে কোন লাভ নেই।” 

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেই ফর্মটা ঘরোয়াতেও টেনে এনেছেন লিটন। জাতীয় লিগে এক রাউন্ড খেলেছেন, সেখানেই গড়েছেন বাংলাদেশের দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। সব মিলিয়ে পরের ম্যাচে শুন্য থেকে শুরু করতে হলেও সাম্প্রতিক ফর্ম লিটনকে মুক্তি দিচ্ছে চাপ থেকে, “আমি বলবো না যে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে। তবে আগে থেকে একটু চাপমুক্ত অবস্থায় আছি, এটা বলতে পারেন। আর নিজের প্রতি একটু আত্মবিশ্বাস এসেছে। যখন ভাল কিছু করে তখন নিজের ভেতর এই জিনিসটা আসে।”

    “একজন ক্রিকেটার পারফর্ম করলে মাথা থেকে সেই জিনিসটা সরে যায়। ক্রিকেট তো সম্পূর্ণ মানসিকতার খেলা। মানুষ বলে, মন যত পরিস্কার থাকবে তত ভাল খেলবেন। যেহেতু পারফর্ম করিনি, তখন মনে নিজের সামর্থ্য নিয়ে একটু প্রশ্ন থাকেই। আর পারফর্ম করার পর মানসিকভাবে একটু চাপমুক্ত হওয়া যায়। এই জন্য হয়তো ভাল হয়েছে।”

    এশিয়া কাপের আগে লিটন বলেছিলেন, বড় ক্রিকেটাররাই বড় ইনিংস খেলে। ফাইনালে বড় ইনিংস খেলেছেন, লিটন কি তবে বড় ক্রিকেটার হওয়ার পথে এগিয়ে গেলেন আরেক ধাপ? তেমন কিছু ভাবছেন না, তবে সেই ইনিংসকে নিচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই, “অবশ্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেঞ্চুরি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাও ভাল জানেন, আমি অনেক দিন ধরেই ব্যাকফুটে ছিলাম। পারফর্ম করাটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একই সাথে আমার জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি, এটা আমার জন্য অনেক ব্যাপার।”

    জিম্বাবুয়ে সিরিজে তামিম নেই, ওপেনিংয়ে লিটনের সঙ্গী হবেন এবার নতুন কেউ। তবে প্রত্যাশার চাপটা তার ওপর বেশি থাকবে, লিটন মানছেন সেটা, “কিছু পেতে হলে তো কিছু দিতেও হবে। আমিও জানি যে আমাকে রান করতে হবে। দলের সদস্যরাও চাইবে, যেহেতু আমি ভাল খেলেছে সেটা যেন ধরে রাখি। এটা দুই দিক দিয়েই থাকবে।”