• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    খুলনায় অলরাউন্ডার সৌম্যর দিন, বগুড়ায় তাসকিন-নাঈমের প্রথম পাঁচ

    খুলনায় অলরাউন্ডার সৌম্যর দিন, বগুড়ায় তাসকিন-নাঈমের প্রথম পাঁচ    

    প্রথম স্তর
    খুলনা-রংপুর, খুলনা 
    টস- রংপুর (ফিল্ডিং) 
    তৃতীয় দিনশেষে 
    খুলনা ১ম ইনিংস ৩০৪ (সৌম্য ৭৬, এনামুল ৫৬, জিয়া ৫৩,  সাজিদুল ৮১) ও ১৮১/৫ (সৌম্য ৭১, তুষার ৬৩*, মাহমুদুল ২/১৮) 
    রংপুর ১ম ইনিংস ৩১৫ (জাভেদ ৬৪, তানভীর ৬৭*, আল-আমিন ৪/৬৭, সৌম্য ৫/৬১)


    খুলনায় দারুণ দিন কাটিয়েছেন সৌম্য সরকার। প্রথমে বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন, এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। প্রথম ইনিংসে রংপুরকে ৩১৫ রানে আটকে দেওয়ার পর তৃতীয় দিনশেষে ১৭০ রানে এগিয়ে আছে খুলনা। 

    আগের দিন ৪ উইকেট নিয়ে ১০৪ রানে পিছিয়ে ছিল রংপুর। দিনের শুরুতে আজ সোহরাওয়ার্দি শুভকে ফিরিয়েছেন আল-আমিন, আগেরদিনের সঙ্গে মাত্র ১ রান যোগ করতে পেরেছেন শুভ। সৌম্য-শো শুরু হয়েছে এরপরই। ধীমান ঘোষ ও রবিউল হককে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়েছেন। একপ্রান্তে থাকা তানভীর হায়দারের সঙ্গে বোলিংয়ে রংপুরের নায়ক সাজিদুল হক মিলে ৮ম উইকেটে যোগ করেছেন ৭১ রান। 

    রংপুর সৌম্যর তোপ থেকে নিজেদের মুক্ত করেছে তখন অনেকটাই। তবে সেই সৌম্যই ভেঙেছেন এই জুটি, সাজিদুলকে আগের দুই উইকেটের মতোই উইকেটকিপারের ক্যাচ বানিয়ে। ৬ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে রংপুর, তিনটিই নিয়েছেন সৌম্য। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি, এ ইনিংসে বোলিং করেছেন ২৪ ওভার। ১১৭ বলে ৬ চারে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তানভীর। 

    ২৩ রানে এরপর আগের ইনিংসে ফিফটি করা এনামুলকে হারিয়েছে খুলনা, সাজিদুল বোল্ড করেছেন তাকে। ৪৮ রানে আউট আরেক ওপেনার। তৃতীয় উইকেটে তুষার ইমরানের সঙ্গে ১০৬ রান যোগ করেছেন এরপর সৌম্য। মাহমুদুলের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ১৪৮ মিনিটে করেছেন ৭১ রান, মেরেছেন ৭টি চার। সৌম্যর পর আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসানও আউট হয়েছেন দ্রুত, তবে ৬৩ রানে খুলনার ভরসা হয়ে অপরাজিত আছেন তুষার। 

     

    সেঞ্চুরির পর তাসামুল, জাতীয় লিগে

     

    দ্বিতীয় স্তর
    ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রাম, বগুড়া
    টস- চট্টগ্রাম (ফিল্ডিং) 
    তৃতীয় দিনশেষে
    ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ২৮৭ অল-আউট (জাবিদ ৯০, শামসুর ৫১*, নাঈম ৩/৭৪, রানা ২/৩১) ও ২য় ইনিংস* ১৯১/৬ (সাদমান ৬২, সৈকত ৪০, নাঈম ৫/৯৯)
    চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ২৩৬ (তাসামুল ১১৬, মুমিনুল ৩৪, তাসকিন ৫/৬৭, আরাফাত সানি ২/৫৩)



    প্রথম শ্রেণিতে প্রথম পাঁচ তাসকিনের


    প্রথম শ্রেণিতে ১৩তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন তাসামুল হক। তবে তার ১১৬ রানের ইনিংসও প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়া আটকাতে পারেনি চট্টগ্রামের। ঢাকা মেট্রো তৃতীয় দিনশেষে লিডটা বাড়িয়ে নিয়েছে ২৪২ রান পর্যন্ত। 

    আগের দিন ৮১ রানে অপরাজিত থাকা তাসামুল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তাসকিন আহমেদকে টানা দুই চার মেরে। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তাসামুল করেছেন ১১৬ রান, ১৩ চার ও ২ ছয়ে। আগের দিন ৩ উইকেট নেওয়া তাসকিন এদিন নিয়েছেন আরও দুইটি, প্রথম শ্রেণিতে ১৯তম ম্যাচে এসে প্রথম পাঁচ উইকেট পেলেন এই ডানহাতি পেসার। 

    দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মেট্রো উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে, নাঈম হাসানের তোপে পড়েছে তারা। ছয়টি উইকেটের মাঝে পাঁচটিই নিয়েছেন অফস্পিনার, ইনিংসে এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক ওভার বোলিং করেছেন তিনিই। তাসকিনের মতো নাঈমেরও এটি ক্যারিয়ারে প্রথম পাঁচ উইকেট। 

    ওপেনার সাদমান করেছেন ৬২, ছয়ে নেমে শামসুর রহমান অপরাজিত ৩১ রানে।