• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    'সাকিব-তামিম না থাকায় খুব একটা শক্তি হারাবে না বাংলাদেশ'

    'সাকিব-তামিম না থাকায় খুব একটা শক্তি হারাবে না বাংলাদেশ'    

    আনুষ্ঠানিক কোনো সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি ছিল না। জিম্বাবুয়ে দল আজই শুরু করেছে অনুশীলন, তবে প্রস্তুতিপর্বের বেশির ভাগ অংশজুড়ে থাকল ফুটবল। তাতেও  দারুণ ‘ফুটওয়ার্কে’ বাকিদের চেয়ে নজর কাড়লেন সিকানদার রাজা। বার্তা দিলেন, ওয়ানডে সিরিজেও বাকিদের চেয়ে আলাদা করে নজর রাখতে হবে তাঁর ওপর। তবে জিম্বাবুয়ের জন্য যে দুজন বড় হুমকি হতে পারতেন, সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবাল নেই দলে। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা অবশ্য মনে করছেন, এই দুজনকে ছাড়াই বাংলাদেশ যথেষ্ট শক্তিশালী।

    এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই তামিমকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজে অন্তত থাকছেন না। সাকিব আল হাসানের আগের চোট নিয়েই খেলছিলেন, তবে পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচের আগে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দেশে ফিরতে হলো তাঁকে। এই সিরিজে থাকা হচ্ছে না তাঁরও। গত বার ত্রিদেশীয় সিরিজে তামিমের ব্যাট আর সাকিবের বলেই বেশি পুড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে মাসাকাদজা মনে করছেন, সাকিব-তামিম না থাকলেও খুব বেশি শক্তি হারাবে না বাংলাদেশ, ‘দুইজনই বাংলাদেশের জন্য বড় প্লেয়ার। তাঁরা বাংলাদেশের জন্য অনেক দিন ধরেই পারফর্ম করছে। তাদের অনেক প্লেয়ার রয়েছে। আর কিছু বদলী প্লেয়ারও অপেক্ষায় আছে। আমার মনে হয় না সাকিব-তামিম না থাকায় তারা খুব একটা শক্তি হারাবে।’

     

     ‘হ্যাঁ অবশ্যই। সিরিজটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমাদের প্লেয়ার আছে ভাল করার মত। আমাদের কয়েকজন তরুন ক্রিকেটার উঠে এসেছে। একই সাথে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও আছে। হ্যাঁ, আমি মনে করি এখানে ম্যাচ জেতার মত দল আমাদের আছে। ’

     বাংলাদেশে অবশ্য জিম্বাবুয়ের কয়েকজনই নিয়মিত। মাসাকাদজা, রাজারা এবারের প্রিমিয়ার লিগ খেলে গেছেন, বিপিএলে খেলেছেন ওয়ালারসহ আরও কয়েকজন। মাসাকাদজা স্বাভাভিকভাবেই এটি সুবিধা হিসেবে ধরছেন, ‘হ্যাঁ, কিছু ক্রিকেটার এখানে খেলেছে। এটা সবসময় সাহায্য করে। কারণ ছেলেরা এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে ধারনা রাখে। তাঁরা জানে কিভাবে এখানে কাজ করতে হয়। আমার মনে হয় আমাদের দলের ৫-৬ জন ক্রিকেটার এখানে খেলেছে। কন্ডিশনের জ্ঞান ও এখানে খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্যই দলকে সাহায্য করবে।’

    খুবই প্রত্যাশিতভাবে বললেন, বাংলাদেশ দেশের মাটিতে বরাবরই দারুণ। মাসাকাদজার অবশ্য দাবি, বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা তাদের এগিয়ে রাখবে,

    ‘বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খুবই ভাল দল। তাঁরা গত কয়েক বছরে সেটার প্রমাণ রেখে আসছে। এখানে এসে খেলা সবসময়ই কঠিন। আমরা বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেট খেলেছি, বাকি দেশ গুলোর তুলনায়। সেই দিক থেকে আমরা মানসিকভাবে ভাল অবস্থানে আছি। এই জন্যই আমি বিশ্বাস করি, এই সিরিজটি খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে।’

    আগের দুই বারের অভিজ্ঞতা অবশ্য বলছে, মাসাকাদজার আশা পূরণ হওয়া একটু কঠিনই!