বোলিং 'ভ্যারিয়েশন'-এ বাড়তি আত্মবিশ্বাস মিরাজের
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ওয়ানডে দলে নিয়মিত হয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে চোটের কারণে দলে নেই সাকিব আল হাসান। স্পিনের মূল দায়িত্বটা এসে পড়বে তার ওপরই। বাড়তি দায়িত্বটা নিতে প্রস্তুত মিরাজ, সঙ্গে বোলিংয়ের ভ্যারিয়েশন তাকে জোগাচ্ছে বাড়তি আত্মবিশ্বাসও।
এ কদিন অনুশীলনে ছিলেন না অসুস্থতার কারণে। পুরো সেরে না উঠলেও মিরপুরে আজ অনুশীলনে এসেছিলেন এই অলরাউন্ডার। সাম্প্রতিক সময়ের নিজের চিন্তাভাবনাতেও বদল এসেছে তার, “আমার মনে হয় আমি আগের তুলনায় এখন একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করছি। কিভাবে কী করতে হবে, এইসব নিয়ে মানসিকভাবে একটু শক্ত হয়েছি। আর বোলিংয়ে কিছু ভ্যারিয়েশন এনেছি, ওইগুলো হয়তো কাজে দিচ্ছে।”
“ভ্যারিয়েশন বলতে, আমি আগে প্রায়সময় এক গতিতেই বল করতাম। সিমের পজিশন একটু অন্য রকম ছিল আগে। সিমের গতিপথ পরিবর্তন করেছি। আগে ৪৫ ডিগ্রিতে বল করতাম। এখন ৯০ ডিগ্রিতে করছি। একটু মিক্স করে বল করছি।”
উইকেটের দেখা সেভাবে না পেলেও এশিয়া কাপে আঁটসাঁট ও কার্যকর বোলিং করেছেন মিরাজ। ওয়ানডেতে অন্য বোলারদের এই সমর্থনটা দেওয়াই লক্ষ্য তার, “ওয়ানডেতে আমি প্রথম দিকে যখন বল করি, প্রতিপক্ষ দলের ওপেনাররা যখন রান তাড়া করে খেলে, তখন আমার দায়িত্ব থাকে রান আটকে বল করা। আমি যদি রান থামিয়ে রাখতে পারি তাহলে আমার যে বোলিং পার্টনার থাকবে, সে উইকেট বের করে নিতে পারবে। ওয়ানডেতে সবসময় ভূমিকাটা থাকে রান থামিয়ে রাখার।
“হয়তো আমি উইকেট পাচ্ছি না, হয়তো আমার পার্টনার পাচ্ছে, বা আরেকজন পাচ্ছে। দিনশেষে কিন্তু দলের সাহায্য হচ্ছে। এটাই আমি চেষ্টা করি, আমার হয়তো উইকেটের দরকার নেই। আমার পার্টনার যে আছে, হয়তো মাশরাফি ভাই, মুস্তাফিজ, সাকিব ভাই বা রুবেল ভাই উইকেট বের করে দিবে, যারাই আছে বোলাররা। আমি রান থামিয়ে রাখতে পারলে (প্রতিপক্ষ) দল চাপে পড়বে, আর অন্য বোলাররা উইকেট পাবে। এটাই আমার চেষ্টা, এর মধ্যে যদি ভাগ্য ভাল থাকে তাহলে আমি উইকেট পেয়ে যাবো।”
বোলিংয়ের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এসেছে মিরাজের ব্যাটিং-ও। এশিয়া কাপের ফাইনালে ওপেনিং করতে নেমেছিলেন, অধিনায়ক ও সিনিয়রদের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন। এসব বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে তাকে, “ফাইনাল ম্যাচ ওপেন করেছি, আমিও ভাবি নি আমি ফাইনালে ওপেন করব। মাশরাফি ভাই ম্যাচের আগের দিন রাতে বলেছেন, সবাই যারা সিনিয়র আছে সবাই অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। এই জন্য অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এটা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি, যে কোনো মুহূর্তে আমাকে দলের প্রয়োজনে যে কোন জায়গায় নামতে হতে পারে। আমার মানসিকতা থাকবে, যে কোনো সময় এমন কিছু হতে পারে।”
“সবাই কিন্তু আমাকে ব্যাটিং নিয়ে অনেক সমর্থন দেয়। সবাই বলে, আমি অনেক ভাল ব্যাটিং করতে পারি। মাঝখানে একটু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার আত্মবিশ্বাস ফিরে আসছে। ব্যাটিং নিয়ে এখন কাজ করছি। আশা করি সামনে হয়তো অবদান রাখতে পারব।”