• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে পাঁচ প্রশ্ন

    জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে পাঁচ প্রশ্ন    

    “এক নম্বর” সমস্যা 

    ২০১৬ : ৪৫.২২। ২০১৭ : ৬৪.৬০। ২০১৮ : ৯০.১৬। বিশ্বকাপের পর থেকে তামিম ইকবালের গড়ের গ্রাফটা উঠছিল শুধু। ১২ বছরের ক্যারিয়ারে তামিম সেরা সময়টা কাটাচ্ছিলেন, ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে ওপেনারদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল গড় তার। তামিমের ওপেনিং সঙ্গী খোঁজা হয়েছে এতদিন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সেই তামিমকেই পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর তামিমের সঙ্গে খেলেছেন পাঁচজন ওপেনার, সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালের দারুণ সেঞ্চুরির পর মোটামুটি এখানে থিতু হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন লিটন দাস। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে প্রশ্ন- লিটনের ওপেনিং সঙ্গী হবেন কে? স্কোয়াডে আছেন ইমরুল কায়েস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইমরুলকে এশিয়া কাপে খেলানো হয়েছে নিচের দিকে, পারফর্ম করতে না পারায় বাদ দেওয়া হয়েছিল শান্তকে। মোহাম্মদ মিঠুন মিডল অর্ডারে খেলেছেন এশিয়া কাপে। আরেকটা অপশন দলে প্রথমবার ডাক পাওয়া ফজলে রাব্বি। যাকে নিয়ে নির্বাচকদের কথা, তিনি খেলতে পারেন যে কোনও পজিশনেই। 

     

    গ্রাফিকস- ইশতিয়াক অর্ণব/ প্যাভিলিয়ন

     

    সাকিবের শূন্যস্থান : তিন নম্বরে কে? 

    ২০১৪ সালে সাকিব প্রথম এক ম্যাচে তিনে খেলেছিলেন, এরপর গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি ওয়ানডেতে। ঘরের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ পজিশনে খেলার পর থেকে এশিয়া কাপে ভারতের সঙ্গে ম্যাচ পর্যন্ত সাকিব খেলেছেন তিনেই। অবশ্য সে টুর্নামেন্টে নিজের শেষ ম্যাচে সাকিব নেমে গিয়েছিলেন পাঁচে। সাকিব ছাড়া এশিয়া কাপে তিনে খেলেছেন আরও তিনজন- ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন। সফল হননি কেউই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সে স্থানটা পূরণ করবেন কে? 

     

    চারেই দুর্দান্ত মুশফিক?

    এশিয়া কাপে মুশফিক দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলেছেন, দুটিই তার প্রিয় পজিশন চার নম্বরে। গত দুই বছর ধরে এখানেই খেলছেন মুশফিক, ক্যারিয়ার গড়টাও প্রায় ৩৪ থেকে বেড়ে ৪০-এর ওপরে ওঠে এখানে খেললে।

     

     

    বিশ্বকাপের পর থেকে ইংল্যান্ডের শ্রীলঙ্কা সফর শুরুর আগ পর্যন্ত সব দেশে মিলিয়ে চার নম্বরে মুশফিকের চেয়ে ভাল গড় আছে শুধু দুইজনের- নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় বলা এবি ডি ভিলিয়ার্সের। চোট থেকে সেরে ওঠা মুশফিকের খেলার কথা প্রথম ওয়ানডে থেকেই, জিম্বাবুয়ে সিরিজে চার নম্বরে মুশফিক ছাড়া অন্য কাউকে ভাবার কথাও নয় টিম ম্যানেজমেন্টের। 

     

    মাহমুদউল্লাহ আবার উঠবেন ওপরে? 

    মোটা দাগে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং ক্যারিয়ারের দুইটি ভাগ- লোয়ার অর্ডার থেকে ওপরের দিকে উঠে আসার আগে পরে। গত বছর দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুইটি ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ খেলেছিলেন পাঁচেই।

     

     

    বিশ্বকাপের পর এ পজিশনে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানও তিনিই। তবে এশিয়া কাপে মাহমুদউল্লাহ ছয়ে খেলেছেন চারটি ম্যাচ, দুই ম্যাচে আবার নেমে গিয়েছিলেন সাত নম্বরে। ছয়-সাতে একজন পিঞ্চহিটার বাংলাদেশ খুঁজছে অনেকদিন থেকেই, মাহমুদউল্লাহকেই কি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও নিতে হবে সেই ভূমিকা? নাকি আবার পাঁচে ফিরবেন তিনি? 

     

    ভাবনায় “পেস-অপশন”

    মুস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন- ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পেস-ভরসা বলতে গেলে এখন এই তিনজনই। বিশ্বকাপের পর এ তিনজনের পর সবচেয়ে সফল তাসকিন আহমেদ, অফফর্ম-চোট মিলিয়ে বাদ পড়ার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও যিনি স্কোয়াডে নেই। সৌম্য সরকারকে মিডিয়াম পেসার হিসেবে ধরলে এ সময়ে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ৭ জন পেসার।

     

     

    সৌম্য ছাড়া সবচেয়ে বেশি চারটি ম্যাচ খেলেছেন শফিউল ইসলাম, যিনি দৃশ্যপটে নেই অনেকদিন থেকেই। সাত নম্বরে বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে দলে ফেরা ও এর আগে তিন ম্যাচে এক উইকেট নেওয়া সাইফ উদ্দিনকে খেলানোর আভাস দিয়েছেন নির্বাচকরা, সেক্ষেত্রে রুবেলকে বাদ না দিলে বাংলাদেশ নামবে চার পেসার নিয়েই। সাইফ পারবেন পেস বোলিংয়ের অপশন বাড়াতে? মুস্তাফিজ-মাশরাফি-রুবেল ছাড়া পেস বোলিংয়ের অপশন নিয়ে ভাবনা কিন্তু শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে নয়, পরের বছর বিশ্বকাপকে ঘিরেও। 

     

    *পরিসংখ্যান ইংল্যান্ডে-শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরুর আগ পর্যন্ত