জুনিয়র-সিনিয়র বিভাজনটাই পছন্দ নয় সাকিবের
দেশের মাটিতে খেলা চলছে, অথচ তিনি খেলতে পারছেন না, সাকিব আল হাসানের জন্য তা মেনে নেওয়া কঠিনই। এই বছরেই অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলতে পারেননি চোটের জন্য। কে জানত, সেই চোট সাকিবকে ছিটকে দেবে বছরের শেষ দিকের জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেও? আজ লা মেরিডিয়ান হোটেলে বেস্ট হোল্ডিংসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার একটা অনুষ্ঠানে সাকিব অবশ্য জুনিয়রদের কোনো পরামর্শ দিলেন না। বরং পুরনো কথাটাই আবার মনে করিয়ে দিলেন, সিনিয়র-জুনিয়র ভাগ করাটাই তিনি পছন্দ করেন না।
সিনিয়রদের কেন বেশি দায়িত্ব নিতে হবে? গত বছর শ্রীলঙ্কা সিরিজের সময় প্রশ্নটি করেছিলেন সাকিব। তখন সেটি নিয়ে কম তোলপাড় হয়নি। তবে সাকিব পরিষ্কার করে বলেছিলেন, জুনিয়র-সিনিয়রদের বিভাজনটাই পছন্দ করেন না। আজ জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে জুনিয়রদের পরামর্শ দেওয়ার কথা বললে আবার সেই কথাটাই মনে করিয়ে দিলেন, ‘আমার কাছে জুনিয়র সিনিয়র শব্দটাই পছন্দ হয় না। কারণ আমার কাছে মনে হয় যারা দলে আছে তারা সবাই খেলার জন্য সামর্থ্যবান। তা না হলে কেউ থাকতো না। এখানে সিনিয়রের কম দায়িত্ব, জুনিয়রের কম দায়িত্ব; এরকম কোনো বিষয় নেই। সবার একটা দায়িত্ব কিভাবে দলের হয়ে ম্যাচটা জেতাতে পারবে। সেই চেষ্টা সবাই করবে। কোনোদিন দুই-তিনজন ভালো খেলবে। কোনোদিন চার-পাঁচজন ভালো করবে। একটা ম্যাচে ১১জন ভালো খেলা খুবই কঠিন। সেটা যদি খেলে তাহলে বাংলাদেশ সব ম্যাচ জিততে পারবে।’
সাকিব বলছেন, দলে সুযোগ পেলে সবারই সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত সেটা কাজে লাগানোর, ‘যারা দলে থাকে ভালো করে দলে আসে। আর যারা দলে থাকে না তারা একটু ফর্মের কারণে বাদ পড়ে। তারমানে এই না যে যে দলে থাকে না সে খেলোয়াড় হিসেবে খারাপ। আবার যে দলে আছে সে খেলোয়াড় হিসেবে ভালো। যখন যার সুযোগ আসবে সে অবশ্যই চেষ্টা করবে যেন পারফর্ম করতে পারে। দলের হয়ে অবদান রাখতে পারে। এটাই একমাত্র ফোকাস হওয়া উচিত খেলোয়াড়ের। যারা সুযোগ পাচ্ছে না তাদেরও চেষ্টা থাকবে যেন পারফর্ম করার, সেরা পারফরম্যান্স যেন সব সময় ধরে রাখার চেষ্টা করা। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে। যেন যখন সুযোগ আসে সেই সুযোগটা যেন পটেনশিয়াল অনুযায়ী কাজে লাগাতে পারে।’
সাকিবের কথাটা রাব্বি-শান্ত-আরিফুল-সাইফ উদ্দিনরা মনে রাখতে পারলেই হয়।