• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    ইমরুলের অনেক প্রথমের সাক্ষী মিরপুর

    ইমরুলের অনেক প্রথমের সাক্ষী মিরপুর    

    সেঞ্চুরিটা করার পর হেলমেট খুলে দুই হাতে নিলেন ব্যাট। সেটি দুই হাতে দুলিয়ে যা করলেন, তাতে উৎসর্গটা যে নবজাতকের উদ্দেশে তা বুঝতে কষ্ট হয় না। বাবা হয়েই ইমরুল কায়েস যেন ফিরে পেলেন নিজেকে, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এক সেঞ্চুরিতেই রেকর্ডবুকেও বেশ কিছু সংখ্যা লেখালেন নতুন করে।

     দুই বছর আগে এই অক্টোবরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছিলেন নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। এবার তৃতীয় সেঞ্চুরিটা অনেক দিক দিয়েই অন্যরকম। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি বলে শুধু নয়, এই সেঞ্চুরিতে মিরপুরেই বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড লিখিয়েছেন নতুন করে। তিন বছর এশিয়া কাপে এই মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩২ রান করেছিলেন তামিম ইকবাল। ইমরুলের সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেল সেই কীর্তি। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের সর্বোচ্চ ১৫৪ রানের রেকর্ডও একটা সময় ভেঙে দেবেন বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। তবে ১৪৪ রানে রান করে ছুঁয়ে ফেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে মুশফিকুর রহিমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। ইমরুল আজ এক ম্যাচে ছয় মেরেছেন ছয়টি, বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবালের ছয়টি ছয় মারার রেকর্ডও ছুঁয়েছেন।

    জুটি হিসেবেও সাইফ উদ্দিনকে নিয়ে একটা রেকর্ড করে ফেলেছেন ইমরুল। সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেছেন ১২৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেট জুটিতে এটি সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম ও নাঈম ইসলাম তুলেছিলেন ১০১ রান।

    তবে ছয় ছক্কা ও ১৩ চারে ১৪০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংসের পর ইমরুল খুব করেই চাইবেন, একটা ধারা অন্তত না মিলুক। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বা ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ যে দুবার সেঞ্চুরি করেছিলেন, তার একবারও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আশার কথা, ২০১৫ সালের পর এই মাঠে এত রান তাড়া করে কেউ জিততে পারেনি আগে।