মুশফিকের পাশে ইমরুল, ফ্লাওয়ারের পাশে টেইলর
রাব্বির হরিষে বিষাদ
ওয়ানডে ক্যাপটা পেলেন রেকর্ড গড়েই। ৬ষ্ঠ বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে ৩০ পেরুনো বয়সে অভিষেক হলো ফজলে রাব্বির, ১৯৯৯ সালের পর প্রথম। এরপর রাব্বির সঙ্গী একটি অনাকাঙ্খিত রেকর্ড। চাতারার লাফিয়ে ওঠা বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে ১৩তম বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে শুন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। নুরুল আবেদিন, গাজী আশরাফ হোসেন, জাহাঙ্গীর শাহ, সামিউর রহমান, হারুনুর রশীদ, জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, আফতাব আহমেদ, এনামুল হক জুনিয়র, ডলার মাহমুদ, জিয়াউর রহমানের সঙ্গী হলেন রাব্বি। এ তালিকায় ১৫টির বেশি ওয়ানডে খেলেছেন একমাত্র আফতাবই, রাব্বি নিশ্চয়ই অনুপ্রেরণা খুঁজতে চাইবেন আফতাবের কাছ থেকেই! অবশ্য এই শুন্যতে রাব্বির তেমন যায় আসতে নাও পারে। লিস্ট 'এ' ও প্রথম শ্রেণি- ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংসে রাব্বি শুন্যতে ফিরেছিলেন দুই ফরম্যাটেই! রাব্বি পরে বোলিং করে থেকেছেন উইকেটশূন্য, অবশ্য ফিল্ডিংয়ে দারুণ একটি রান-আউটে নিজের ফিটনেসের উচ্চমাত্রাটা দেখিয়েছেন ভালভাবেই।
ফ্লাওয়ারের পাশে টেইলর
ফজলে মাহমুদ থেকে মেহেদি হাসান মিরাজ- বাংলাদেশের তিন থেকে সাত নম্বর ব্যাটসম্যানের সবকটি ক্যাচই উইকেটের পেছনে নিয়েছেন ব্রেন্ডন টেইলর। এক ইনিংসে জিম্বাবুয়ের হয়ে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন টেইলর। ফ্লাওয়ারের এই কীর্তি আছে দুইবার। দুইটিই অবশ্য গত শতাব্দীতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসে পাঁচটি ডিসমিসাল করা ৭ম উইকেটকিপার টেইলর- রিডলি জ্যাকবস, মার্ক বাউচার, এমএস ধোনি, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের পর। বিশ্বরেকর্ড ছয়টি ডিসমিসালের, আছে দশজনের। ছয়বার এই কীর্তি আছে গিলক্রিস্টের।
রিভিউ-রঙ্গ
প্রথমে বাঁচলেন লিটন দাস, তৃতীয় ওভারে। জারভিসের বলে শর্ট কাভারে সিকান্দার রাজা ধরলেন, তবে তিনি নিজেই আম্পায়ারদের বললেন টিভি আম্পায়ারের শরণাপন্ন হতে। সফট সিগন্যাল আউট ছিল, রড টাকার অবশ্য রিপ্লে দেখে ক্যাচ নাকচ করলেন। ৩১তম ওভারে টিরিপানোর বলে স্লিপে এরভিন নিলেন সাইফউদ্দিনের ক্যাচ, এবার সফট সিগন্যাল থাকলো নট-আউট। টাকার এবারও ব্যাটসম্যানের পক্ষেই কল করলেন। জিম্বাবুয়ে সাইফ উদ্দিনের বিপক্ষে রিভিউ নিল ৪৪তম ওভারে, কট-বিহাইন্ডের। এবারও সফল হলো না তারা, রিপ্লে দেখালো চাতারার পা লাইনের ভেতর ছিলই না! জিম্বাবুয়ে অবশ্য রিভিউয়ে সফল হয়েছে মুশফিকের উইকেটে। পরে ব্যাটিংয়ের সময় জিম্বাবুয়ে নিল আরেকটি রিভিউ। ব্যাটিংয়ে জারভিস যে রিভিউটা নিলেন, আল্ট্রা-এজের রেকর্ডে সেটা সবচেয়ে ‘স্বাস্থ্যবান’ এজ-এর রেকর্ডে থাকবে ওপরের দিকেই। জারভিসের উইকেট নিলেন মাহমুদউল্লাহ, যিনি নিজেও ব্যাটিংয়ের সময় রিভিউ নিয়েছিলেন কট-বিহাইন্ডের। তার পরিণতিও ছিল জারভিসের মতোই!
এমন দিন আসেনি আর তাদের...
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইমরুলের অন্যতম সেরা দিন ছিল এটি, ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসও খেলেছেন। আগে দুইটি সেঞ্চুরি ছিল ওয়ানডেতে, ১১২ সর্বোচ্চ। আজ সেটি পেরিয়ে গেলেন অনেকদূর- ১৪৪ পর্যন্ত। মুশফিকুর রহিমের রেকর্ডে ভাগ বসালেন ইমরুল, তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এখন এই দুজনেরই।
ওয়ানডেতে পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে ক্যারিয়ারসেরা দিন গেছে আরও কয়েকজনের। দারুণ স্পেলে বাংলাদেশকে কোণঠাসা করা জারভিস ৩৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট, এর আগে সেরা ফিগার ছিল ৩৬ রানে ৩ উইকেট। শুধু বোলিংয়ে নয়, ব্যাটিংয়েও আগের সর্বোচ্চ ২০ রানের স্কোর টপকে জারভিস করেছেন ৩৭ রান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও অবশ্য পরাজিত দলেই থাকতে হয়েছে তাকে। আর মিরাজ, অপুরা সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করে জিতেছেন ঠিকই।