নাঈম হাসানের ৮ উইকেটের দিন
২য় স্তর
ঢাকা-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার
টস- ঢাকা (ব্যাটিং)
১ম দিনশেষে
ঢাকা ১ম ইনিংস ২৮৮ (মজিদ ৭২, শুভাগত ৫২, নাঈম ৮/১০৮)
আগের ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েছিলেন নাঈম হাসান। ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ১১৯ রানে, ১২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে সেরা ফিগার ছিল সেটাই। নাঈম সেই ফিগারটা গড়লেন নতুন করে, এবার তিনি ৮ উইকেট নিয়েছেন ১০৮ রানে। বয়স ১৮ পূর্ণ হয়নি, চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অভিষেকের দ্বারপ্রান্তে চলেও গিয়েছিলেন। তাকে নিয়ে উচ্চাশা যে অমূলক নয়, সেটাই আরেকবার প্রমাণ করলেন নাঈম।
সাইফ হাসান ও আব্দুল মজিদের ওপেনিং জুটিতেই উঠেছিল ৮২ রান, ঢাকার শুরুটা ছিল দারুণই। সাখাওয়াত হোসেন ভেঙেছেন সে জুটি, এরপর সাতে নামা নাজমুল হোসেন মিলনের উইকেট নিয়েছেন ইরফান হোসেন। তা বাদে আগে-পরে ঢাকার ৮টি উইকেটই নিয়েছেন নাঈম।
১৬ রানের ব্যবধানে নাঈম ফিরিয়েছেন ৭২ রান করা মজিদ, ৪ রান করা তাইবুর রহমান ও নাদিফ চৌধুরিকে। শুভাগত হোম ও মিলন ৬ষ্ঠ উইকেটে যোগ করেছেন ৬৩ রান, শুভাগতকে আউট করে সে জুটি ভাঙার পর সে ওভারেই নাঈমের বলে ফিরেছেন মোশাররফ রুবেলও।
৯ম উইকেটে শাহাদাত হোসেন ও মাহবুবুল আলম অনিক আরেকদফা লড়াই করেছেন ৫৬ রান যোগ করে। ৩ বলের ব্যবধানে শাহাদাত ও সালাউদ্দিন শাকিলকে এলবিডব্লিউ করে ইনিংস শেষ করেছেন নাঈম। ৮৮ ওভারে ২৮৮ রানে শেষ হয়েছে ঢাকার প্রথম ইনিংস, সঙ্গে দিনের খেলাও।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট, রাজশাহী
টস- মেট্রো (ফিল্ডিং)
১ম দিনশেষে
সিলেট ১ম ইনিংস* ২৯২/৯ (শানাজ ৬০, শাহানূর ৫৪, জাকির ৫০, অনিক ২/৫৩, সানি ২/৬০)
খুলনার মতো সিলেটেরও তিন ব্যাটসম্যান করেছেন ফিফটি, সেঞ্চুরি করতে পারেননি কেউই। মেট্রোর ছয় বোলারই নিয়েছেন উইকেট, ২৯২ রান তোলার সঙ্গে ৯ উইকেটও হারিয়েছে সিলেট।
ইমতিয়াজ হোসেন ও শানাজ আহমেদের ওপেনিং জুটিতে ৮৯ রান তুলেছে সিলেট, তবে এরপর থেকে উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতেই। মোহাম্মদ আশরাফুলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে শানাজ করেছেন ৬০ রান, সৈকত আলির বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে জাকির করেছেন ৫০।
ছয়ে নেমে শাহানূর করেছেন ৫৪, কাজি অনিকের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে। জাকের আলি ও এনামুল হক জুনিয়রকে দ্রুত ফিরিয়ে সিলেটকে আরেক দফা চেপে ধরেছিলেন আরাফাত সানি।
অনিক, সানি, আশরাফুল- তিনজনই নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট। একটি করে নিয়েছেন শহিদুল, সৈকত, আসিফ। দিনশেষে খালেদ আহমেদের সঙ্গে অপরাজিত আছেন এবাদত হোসেন।