• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    শুভাশীষের ৫ উইকেট, রংপুরে বোলারদের দিন

    শুভাশীষের ৫ উইকেট, রংপুরে বোলারদের দিন    

    ১ম স্তর

    খুলনা-রাজশাহী, খুলনা 
    টস- খুলনা (ব্যাটিং) 
    ২য় দিনশেষে
    খুলনা ১ম ইনিংস ৩০৯ (তুষার ৭১, সৌম্য ৬৬, এনামুল ৫৬, শফিউল ৩/৬১, রেজা ৩/৫৪, সানজামুল ৩/৭৩)
    রাজশাহী ১ম ইনিংস* ২০২/৫ (ফরহাদ ৫৬, জুনাইদ ৪৭, সৌম্য ২/৪১, আল-আমিন ২/৬২) 
    রাজশাহী প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ১০৭ রানে পিছিয়ে 


    আগের দিনের সঙ্গে ২৮ রান যোগ করেছে খুলনা, ৩ উইকেটে। জিয়াউর রহমান ও মইনুল ইসলামকে ফিরিয়েছেন শফিউল ইসলাম, আল-আমিনকে বোল্ড করেছেন ফরহাদ রেজা। শফিউল, রেজা, সানজামুল- তিনজনই নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। 

    রাজশাহীর টপ ও মিডল অর্ডারও খুলনার মতো মিস করেছে ইনিংস বড় করার সুযোগ। ফিফটি মিস করেছেন মিজানুর রহমান ও জুনাইদ সিদ্দিক, ৫৬ রানে থেমেছেন ফরহাদ হোসেন। মাইশুকুর রহমান-মিজানুরের ওপেনিং জুটি যোগ করেছে ৬১ রান, ৪ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন দুজন, আল-আমিন ও সৌম্যর বলে। তৃতীয় উইকেটে ফরহাদ ও জুনাইদ একে অপরের সঙ্গ পেয়ে মিলিতভাবে করেছেন ১০৪ রান, এই দুজন ফিরেছেন ৮ রানের ব্যবধানে। এবার বোলার সৌম্য ও মইনুল। 

    জহুরুলকে ১৫ রানের বেশি করতে দেননি আল-আমিন। দিনশেষে ১৬ রানে ব্যাটিং করা সাব্বিরের সঙ্গী নতুন ব্যাটসম্যান মুক্তার আলি। 


    রংপুর-বরিশাল, রংপুর 
    টস- বরিশাল (ফিল্ডিং)
    ২য় দিনশেষে  
    রংপুর ১ম ইনিংস ১৪৭ (রাকিন ৪৬, নাঈম ৩৯, সোহাগ ৫/৪০, মনির ২/১১) ও ২য় ইনিংস* ৭৭/৩ (রাকিন ৩০, মাহমুদুল ২৭*, মনির ৩/১২) 
    বরিশাল ১ম ইনিংস ১৪৭ (রাফসান ৪০, রাব্বি ২৭, শুভাশীষ ৫/৪৯, রবিউল ২/২৬) 
    রাজশাহী ২য় ইনিংসে ৭ উইকেটে ৭৭ রানে জয়ী 


    রংপুরে একদিনেই পড়েছে ১৩ উইকেট। ১৪৭ রানে অল-আউট হওয়ার পর শুভাশীষ রায়ের ৫ উইকেটে বরিশালকেও একই রানে গুটিয়ে দিয়েছে রংপুর। দ্বিতীয় ইনিংসে রানের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে রংপুরকে, ওভারপ্রতি ১.৬৩ হারে তারা ৪৭ ওভারে তুলেছে ৭৭ রান, হারিয়েছে ৩ উইকেট। রংপুরে বোলারদের আধিপত্য চলছে- সেটা বলাই যায়। 

    সকালে শুরুটা অবশ্য ভাল হয়েছিল বরিশালের, আগেরদিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান রাফসান ও আল-আমিন তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ৫৩ রান। আল-আমিনকে এলবিডব্লিউ করে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন আগের দিন দুই উইকেট পাওয়া শুভাশীষ। 

    রাফসানও অনুসরণ করেছেন আল-আমিনকে, শুভাশীষের বলে বোল্ড হয়ে, দলীয় ৭৯ রানে। সেই রানে আরও ২ উইকেট হারিয়েছে বরিশাল, মোসাদ্দেককে বোল্ড করেছেন রবিউল, সোহাগ গাজিকে ক্যাচ বানিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেছেন শুভাশীষ। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন এই পেসার। 

    মনিরকে এরপর দ্রুত ফিরিয়েছেন রবিউল হক, ৮ম উইকেটে কামরুল ইসলাম রাব্বির সঙ্গে ৪৩ রান যোগ করা নুরুজ্জামানের উইকেট নিয়েছেন তানভীর হায়দার। তানভীর ইসলামের উইকেটও নিয়েছেন তানভীর, তৌহিদুলের উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেছেন সাজিদুল ইসলাম। দুই দলের প্রথম ইনিংসের স্কোর টাই, আবার নতুন করে শুরু হয়েছে তাই রংপুরের ইনিংস। 

    ১১তম ওভারে ওপেনার মেহেদি মারুফকে বোল্ড করেছেন মনির। রাকিন ও মাহমুদুলের ৪৯ রানের জুটিও ভেঙেছেন তিনি, এক বলের ব্যবধানে নাঈম ইসলামকে আউট করার আগে। সোহরাওয়ার্দি শুভকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্য আর কোনও উইকেট না হারিয়েই দিন শেষ করেছেন মাহমুদুল।