• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    বাংলাদেশ সফরে অনিশ্চিত ওয়ার্নারও

    বাংলাদেশ সফরে অনিশ্চিত ওয়ার্নারও    

    অ্যাশেজ হারের ক্ষতটা এখনও শুকোয় নি। ওই সিরিজ খেলেই অবসরে গেছেন সদ্য সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক, উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রিস রজার্স এবং গতকাল বিদায় বলেছেন শেন ওয়াটসন। নবীন পিটার নেভিলের কাছে উইকেটের পিছনের জায়গাটা ছেড়ে দিতে হয়েছে অভিজ্ঞ ব্র্যাড হাডিনকে, তাঁর অবসরের ঘোষণাও হয়তো সময়ের ব্যাপার মাত্র। সব মিলিয়ে আসছে মাসের বাংলাদেশ সফরে প্রায় ‘অনভিজ্ঞ’ এক দল নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়কত্বের হালখাতা খুলতে হবে স্টিভনে স্মিথকে। এই যখন বিশ্বের দুই নম্বর টেস্ট দলের অবস্থা, তখন পরিস্থিতি আরও খানিক শোচনীয় করতেই যেন এল আরেক দুঃসংবাদ। বুড়ো আঙ্গুলের চোট নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে ছিটকে পড়া অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ সফরের আগে তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ‘প্রায়’ নেই বললেই চলে!

     

     

    ব্যাপারটা নিয়ে মোটেও খুশী নন অজি ওপেনার। তবে হতাশা ব্যক্ত করা ছাড়া তাঁর আর কি-ই বা করার আছে, “আমি টেস্ট ম্যাচ কখনই মিস করতে চাই না। তবে বাংলাদেশে যাওয়াটা মনে হচ্ছে আমার জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে যা অবস্থা তাতে আগামী অন্তত ছয় সপ্তাহ ব্যাট ধরতে পারবো না। বুঝতেই পারছেন আমার পক্ষে কতদূর কি করা সম্ভব।”

     

    ২০১৩ সালে একই আঙ্গুলে চোট নিয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েছিলেন। সেবার অবশ্য ২৩ দিনের মাথায়ই খেলায় ফিরতে পেরেছিলেন। তবে এবারের চোট অনেক বেশী গুরুতর বলেই মনে করছেন ওয়ার্নার, সঙ্গত কারনেই তাই সময়টাও লাগবে ঢের বেশী।

     

    সামনের গ্রীষ্মে নিয়মিত পেসারদের উপর চাপ কমাতে ইতোমধ্যেই অজি পেস আক্রমণের পুরোধা মিচেল জনসন, জশ হ্যাজলউডদেরকে বাংলাদেশ সফরে বিশ্রাম দেয়ার ‘অনানুষ্ঠানিক’ ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এর সাথে চোট আর একের পর এক অবসরের ঘোষণা যোগ হয়ে অজিদের টেস্ট দলটাকে যেন রাতারাতিই আনকোরা নবীন বানিয়ে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বাংলাদেশ সফরের সম্ভাব্য দলটিকে ‘স্মরণকালের সবচেয়ে অনভিজ্ঞ টেস্ট দলগুলোর অন্যতম’ অভিহিত করে জানাচ্ছে, বিভিন্নভাবে বাদ পড়া খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার সমষ্টি ৩৪৫টি টেস্ট!

     

    বলাই বাহুল্য, দারুণ উজ্জীবিত বাংলাদেশের মোকাবেলায় টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে বেশ বড় পরীক্ষাই দিতে হতে পারে স্টিভ স্মিথকে।