ঘোর অনিশ্চিত অস্ট্রেলিয়া সফর

সোনারগাঁও হোটেলের লবিতে ঘুরাঘুরি করছেন সিডল-নেভিল-বার্নস।
সুইমিং পুলে সাতার কাটছেন ভোজেস-ফেকেত-ফকনাররা।
সাংবাদিকদের সাথে সিরিজ নিয়ে কথা বলছেন ক্যাপ্টেন স্মিথ।।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখন এমনটাই ঘটার কথা ছিল। কিন্তু, ঘটেছে ঠিক উল্টোটাই!
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দু’টি টেস্ট খেলতে আসার কথা ছিল গত সোমবারে। কিন্তু, নিরাপত্তার অজুহাতে তাঁদের সফর স্থগিত করা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে নিরাপত্তা ঝুঁকি খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল। তাঁর সাথে ছিলেন টিম ম্যানেজার গ্যাভিন ডোভে আর টিম সিকিউরিটি ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক ডিমাসি। গতকাল তাঁরা অজি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে। মাননীয় মন্ত্রী ও বিসিবি প্রধান উভয়ই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছেন যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে গত টি-২০ বিশ্বকাপের মতই ভিভিআইপি নিরাপত্তা দেয়া হবে।
ইতিমধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরা দেশে রওনা দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে তাঁরা বৈঠকে বসবেন দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক অধিদপ্তরের সাথে। অজি ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ সফরে আসার অনুমতি পাবে কিনা সেটা এই বৈঠকের পরেই জানা যাবে। তবে অজিদের সফরের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। এমনকি এরই মধ্যে প্রথম টেস্টের জন্য বাংলাদেশের দলও ঘোষণা করা হয়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক অধিদপ্তর তাদের প্রতিবেদনে বেশ কিছু ব্যাপারে অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশকে ‘অনিরাপদ’ ভাবছে। গুলশানে ইতালীয় নাগরিক হত্যার পর সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও আরব আমিরাত তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরার ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। অনেকে আবার বলছেন, আইএস বিরোধী অভিযানে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া অংশ নেয়ায় বাংলাদেশে আসতে ভয় পাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিন আফ্রিকা-ভারত-পাকিস্তানের সাথে সুষ্ঠুভাবেই ক্রিকেট সিরিজ আয়োজন করা বাংলাদেশ নিরাপত্তার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তাই দিচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, অস্ট্রেলিয়া সরকার ক্রিকেট দলকে বাংলাদেশ পাঠাতে রাজি হয় কিনা। আর সেটা অনেকটাই নির্ভর করছে শন ক্যারলের রিপোর্টের উপর।