১৬ বছর পর নেই চট্টগ্রামের কেউ
সেই ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। লাভ লেনের আবেদীন কলোনিতে বেড়ে ওঠা মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ছিলেন সেই দলে। এরপর এমএ আজিজ থেকে সরে আন্তর্জাতিক ভেন্যু চলে এসেছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ১৬ বছর পর এই প্রথম চট্টগ্রামের মাঠে কোনো ওয়ানডেতে খেলছেন না চট্টগ্রামের কেউ।
১৯৮৮ সালেই চট্টগ্রামে দুইটি ওয়ানডে হয়েছিল, দুইটিতেই খেলেছিলেন মিনহাজুল আবেদীন। তারপর ১১ বছরের মধ্যে আর কোনো ওয়ানডে হয়নি চট্টগ্রামে। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ দিয়ে আবার এমএ আজিজে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে, সেবার অবশ্য ছিলেন না চট্টগ্রামের কেউ। পরের বছর পাকিস্তানের সঙ্গে আবার একটি ওয়ানডে, এখানেও নেই চট্টগ্রামের কেউ। তারেক আজিজ খান চট্টগ্রামে ক্লাব ক্রিকেট খেলেছেন, জাতীয় লিগেও খেলেছেন চট্টগ্রামের হয়ে। পাকিস্তানের সঙ্গে সেই ম্যাচে ১৯ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ৩ উইকেট। তবে তিনি চট্টগ্রামের নন, জন্ম ফরিদপুরে।
২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে আবারও একজন ঘরের ছেলের অভিষেক দেখেছে চট্টগ্রামের। মানজারুল ইসলাম রানা ও জামাল বাবুর সঙ্গে এমএ আজিজে অভিষেক হয়েছিল খান পরিবারের নাফীস ইকবালের। এরপর এমএ আজিজে যে চারটি ওয়ানডে হয়েছে, তার প্রতিটিতেই নাফীস ইকবাল বা আফতাব আহমেদের কেউ না কেউ ছিলেন।
২০০৬ সাল থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী চট্টগ্রামে বাংলাদেশের নতুন ভেন্যু, আফতাব তখনো ঘরের ছেলে হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন। দুই বছর পর মঞ্চে কাজীর দেউড়িরই আরেকজন তামিম ইকবাল, এরপর জহুর আহমেদে যে কটি ওয়ানডে হয়েছে, তার প্রতিটিতেই ছিলেন তামিম। এই প্রথম জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তামিম দর্শক, চট্টগ্রামের আর কেউ নেই একাদশে।