টেন্ডুলকারের সঙ্গী হওয়াও সান্ত্বনা নয় রাব্বির যে রেকর্ডে...
এই রেকর্ডের অংশিদার তিনি হতে চাননি ঘুণাক্ষরেও। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতে শুন্য রানে আউট হওয়াটা না হয় মানা যায়, অভিষেকের স্নায়ুচাপ থেকে সেটা হয়েও যেতে পারে। কিন্তু পরের ইনিংসেও শুন্য রানে আউট! ফজলে রাব্বি মাহমুদের জন্য কোনো সান্ত্বনাই হয়তো যথেষ্ট হবে না। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ইনিংসেই ‘ডাক’ মারার কীর্তিটা কিন্তু বাংলাদেশের হয়ে রাব্বির প্রথম নয়। এর আগে তিনজন তা করেছিলেন। তার চেয়েও বড় কথা, এই তালিকায় আছেন শচীন টেন্ডুলকার, কেন উইলিয়ামসনের মতো ব্যাটসম্যান।
প্রথম ওয়ানডেতে রাব্বির কিছুটা দুর্ভাগ্যই বলা যায়। চাতারার হুট করে লাফিয়ে ওঠা একটি বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। তবে আজকের আউটের জন্য রাব্বি কেবল নিজেকেই দায়ী করতে পারেন। লিটন দাস যখন আউট হয়ছেন, বাংলাদেশের জয়ের সামনে রাস্তাটা পরিষ্কার। রাব্বির সুযোগ ছিল ইমরুলের সঙ্গে কাজটা শেষ করে আসার, সময়ও ছিল অনেক। প্রথম চার বলে রান হলো না, কিন্তু সিকান্দার রাজার বলে পঞ্চম বলটা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতেই হয়ে গেল সর্বনাশ। টেলর হাঁচড়ে পাঁচড়ে স্টাম্পড করে দিলেন, এবার পাঁচ বলে খেলে শুন্য রানে বিদায়।
ওয়ানডেতে এই ‘কীর্তি’ অনেকেরই আছে, আর বাংলাদেশের হয়ে আছে চার জনের। শুরুটা ছিল একসময়ের মারমুখো ব্যাটসম্যান হারুনুর রশিদ লিটনের। ১৯৮৮ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডেতে আউট হয়েছিলেন শুন্য রানে। দুর্ভাগ্যই বটে, তার পর আর ওয়ানডে খেলা হয়নি লিটনের। ডলার মাহমুদের জন্য রেকর্ডটা অবশ্য এমন কিছু নয়, কারণ তিনি আদতে বোলার। সব মিলে চারটি ওয়ানডেতে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। আর সর্বশেষ এই টানা শুন্য ছিল অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানের, ২০১৩ সালে অভিষেকের পর প্রথম দুই ওয়ানডেতে কোনো রানই পাননি। তার পরে অবশ্য আরও ১১টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।
প্রথম দুই ম্যাচে কোনো রান করেননি, এমন আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যানের মধ্যে একজনের গল্প হয়তো অনেকেরই জানা। শচীন টেন্ডুলকার প্রথম দুই ওয়ানডেতে ডাকের পর পরেরটিতে এসে করেছিলেন ৩৬ রান। আরেকজনকেও প্রথম দুই ওয়ানডেতে কোনো রান না করার পর সুযোগ দেওয়ার জন্য গর্ব করতে পারে বোর্ড। কেন উইলিয়ামসনের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ডাকের পর তৃতীয়টিতে করেছিলেন ১৩। এরপর কী করেছেন, সেটা না বললেও চলে। এই তালিকায় আরও আছেন রাইলি রুশো, আসিফ মুজতবা, ম্যাথু সিনক্লিয়ারসহ সব মিলে ২৩ আছেন।
এঁদের অনেকেই সুযোগ পেয়ে ক্যারিয়ারটা দীর্ঘায়িত করেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে, রাব্বি কি সেই সুযোগটা আর পাবেন?