• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    পেসাররা জেতালেন রাজশাহীকে, চট্টগ্রামের জয়ে সেঞ্চুরি মুমিনুলের

    পেসাররা জেতালেন রাজশাহীকে, চট্টগ্রামের জয়ে সেঞ্চুরি মুমিনুলের    

    ১ম স্তর

    খুলনা-রাজশাহী, খুলনা 
    টস- খুলনা (ব্যাটিং) 
    খুলনা ১ম ইনিংস ৩০৯ (তুষার ৭১, সৌম্য ৬৬, এনামুল ৫৬, শফিউল ৩/৬১, রেজা ৩/৫৪, সানজামুল ৩/৭৩) ও ২য় ইনিংস ১৫৮ (নাহিদুল ৩০*, রবি ২৪, রেজা ৪/২৬, শফিউল ৩/৫৯, মুক্তার ৩/১৩)
    রাজশাহী ১ম ইনিংস ৪৩১ (সাব্বির ৯৯, সানজামুল ৬৪, ফরহাদ ৫৬, মুক্তার ৪৭, মইনুল ২/৬৩, আল-আমিন ২/৭৭) ও ২য় ইনিংস ৩৭/২
    রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী 


    মরা ম্যাচে শুধু প্রাণ ফেরেনি খুলনায়, দারুণ প্রত্যাবর্তনে স্বাগতিকদের হারিয়েই দিয়েছে রাজশাহী। ব্যাটিংয়ে চাপ কাটিয়ে লেট মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ১২৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড নেওয়ার সঙ্গে একই দিনে খুলনাকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৮ রানে আটকে দেওয়ার পর ম্যাচ জিতে গেছে রাজশাহী। শফিউল ইসলাম, ফরহাদ রেজা, মুক্তার আলি- তিন পেসারের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি খুলনার ব্যাটসম্যানরা। 

    আগের দিনের সঙ্গে সকালে ১৩ রান যোগ করেছিল রাজশাহী। এরপর দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে এনামুল হককে খুলনা হারিয়েছে ১১ রানের মাঝেই, তিনি এলবিডব্লিউ হয়েছেন শফিউলের বলে। জাতীয় দলে হুট করে ডাক পাওয়ায় খুলনা ছেড়েছেন সৌম্য সরকার, তার বদলি হিসেবে নেমেছিলেন রবিউল ইসলাম। রেজার বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেছেন ২৪, তার আগে মেহেদি হাসানকেও বোল্ড করেছেন রেজা। 

    ৩৯ রানের ব্যবধানে এরপর ৫ উইকেট হারিয়েছে খুলনা। নুরুল হাসান ও জিয়াউরের উইকেট নিয়েছেন শফিউল, আফিফ হোসেন ও তুষার ইমরানকে ফিরিয়েছেন রেজা। ৮ম উইকেটে নাহিদুল ইসলাম ও মইনুল ইসলাম যোগ করেছেন ৪৮ রান, মইনুলকে ক্যাচ বানিয়ে সে জুটি ভেঙেছেন মুক্তার আলি। 

    ৩ রানের ব্যবধানে খুলনার শেষ ৩ উইকেট নিয়ে তাদের লেজ ছেঁটে দিয়েছেন মুক্তার। আগের দিনও যে ম্যাচে ড্র ছাড়া ভিন্ন ফল অসম্ভব মনে হচ্ছিল, সে ম্যাচই এসেছে রাজশাহীর হাতের মুঠোয়। 

    ২০ ওভারে তাদের করতে হতো ৩৭ রান। মাইশুকুর রহমান ও সাব্বির রহমান আউট হয়েছেন জয় থেকে ২০ রান দূরে থাকতে। এরপর ৬ বলে ১৫ রানের ক্যামিও খেলে রাজশাহীর দারুণ জয়টা সম্পন্ন করেছেন তাদের অধিনায়ক- জহুরুল ইসলাম, ৪.৪ ওভারেই।  


    ২য় স্তর 

    ঢাকা-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার
    টস- ঢাকা (ব্যাটিং) 
    ৩য় দিনশেষে
    ঢাকা ১ম ইনিংস ২৮৮ (মজিদ ৭২, শুভাগত ৫২, নাঈম ৮/১০৮) ও ২য় ইনিংস ১৫১ (মিলন ৩৯, অনিক ৩৮*, ইরফান ৩/২৮, নাঈম ৩/৩৯)
    চট্টগ্রাম ১ম ইনিংসে ২৩৮ (ইয়াসির ৬০, সাজ্জাদ ৪৬, অংকন ৪০, মোশাররফ ৩/৬৩, তাইবুর ২/৩৮) ও ২য় ইনিংস ২০৫/২ (মুমিনুল ১১১*, তাসামুল ৮৯*, শাকিল ১/১২) 
    চট্টগ্রাম ৮ উইকেটে জয়ী 


    ৮ উইকেটে শেষদিনে চট্টগ্রামের প্রয়োজন ছিল ৮৯ রান। মুমিনুল হকের অপরাজিত ১১১ এর সঙ্গে তাসামুল হকের অপরাজিত ৮৯ রানে লাঞ্চের আগেই জিতে গেছে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় স্তরে তারা এখন দুইয়ে, ঢাকা তিনে। 

    আগের দিন মুমিনুল অপরাজিত ছিলেন ৬২ রানে, ১০২ বলে এদিন পূর্ণ করেছেন প্রথম শ্রেণিতে নিজের ১৫তম সেঞ্চুরি। বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন এই বাঁহাতি, ১১৫ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে করেছেন ১১১ রান। জাতীয় লিগে এর আগে ৫ ইনিংসে ছিল একটি ফিফটি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের আগে নিজেকে ভালভাবেই ঝালিয়ে নিলেন মুমিনুল। 

    তাসামুল ৮৯ রান করতে খেলেছেন ১১০ বল, মুমিনুলের চেয়ে ২টি চার বেশি মেরেছেন, ছয় মেরেছেন একটি। আগের ম্যাচে তাসামুল করেছিলেন সেঞ্চুরি, এবার তাকে থামতে হলো ১১ রান দূরেই। 

    ২২ রানে ২ উইকেট নিয়েছিল আগেরদিন ঢাকা, তবে সেই সুখস্মৃতিকে বিস্মৃত করে দিয়েছে মুমিনুল-তাসামুলের অবিচ্ছিন্ন ১৮৩ রানের জুটিই।