গতির জন্যই ডাক পেয়েছেন খালেদ, দ্রুত রান তোলার জন্য আরিফুল
এইচপি দলে খেলছেন অনেক দিন ধরেই। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ এ দলে ছিলেন, এর মধ্যে জাতীয় লিগেও সর্বশেষ ম্যাচে পেয়েছেন ইনিংসে ১০ উইকেট। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যাবেন, খালেদ আহমেদের জন্য তা হয়তো একটু অভাবিতই ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে, প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে গেছেন খালেদ আহমেদ।
বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন, এইচপি দলে তাঁর ওপর চোখ রাখা হচ্ছিল অনেক দিন থেকেই। টেস্ট দলে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গী হিসেবে অনেক দিন ধরে একজনকে খুঁজছিল বাংলাদেশ। আবু জায়েদ রাহী, শফিউল ইসলামরা দলে আছেন বটে, কিন্তু এখনো থিতু হতে পারননি। খালেদ এবার সেই সুযোগ পেয়ে গেলেন। প্রথম শ্রেণীর অভিজ্ঞতা অবশ্য এখনও খুব বলার মতো নয়। ২০টি ম্যাচ খেলে ৩১ গড়ে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। তবে শেষ জাতীয় লিগের ম্যাচে সিলেটের দারুণ জয়ে নিয়েছেন ১০ উইকেট।
আজ চট্টগ্রামে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য খালেদকে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন, ‘খালেদ আমাদের এইচপির খেলোয়াড়। আমরা ওকে এইচপিতে নার্সিং করেছি। এখন যতগুলো বোলার আমাদের এইচপিতে আছে, তার মধ্যে ওর গতিটা একটু বেশি আছে। তাকে নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। ফাস্ট বোলিংয়ে যেটা আমাদের দরকার ছিল. আশা করি সামনে সে আমাদের ভালো একটা সার্ভিস দিতে পারবে।’
আরিফুল হক ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি দলে থাকলেও খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাঁকে টেস্ট দলে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন প্রধান নির্বাচক, ‘আরিফুলের বিষয়ে টিম ম্যানেজমেন্টর সঙ্গে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হোম কন্ডিশনে লেট অর্ডারে আমাদের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন হয়। যাতে কুইক রান করতে পারে। একটু স্লো উইকেট খেলা হলে এই ধরনের ব্যাটসম্যান প্রয়োজন হয়। এছাড়া নতুন বলে সে বোলিং করতে পারে। সবমিলিয়ে অলরাউন্ডার হিসেবে তাকে আমরা দলে নিয়েছি।’