• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    ফেসবুকের নেতিবাচক মন্তব্য মাথায় গেঁথে গিয়েছিল সৌম্যর

    ফেসবুকের নেতিবাচক মন্তব্য মাথায় গেঁথে গিয়েছিল সৌম্যর    

    কদিন আগেই ফজলে রাব্বি বলছিলেন, জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে ফেসবুক থেকে দূরে আছেন। পরে মাহসরাফি বিন মুর্তজাও একজন নতুন খেলোয়াড়ের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চাপ কতটা থাকে, সেটি নিয়ে কথা বলছিলেন চট্টগ্রামের অনুশীলনে। আজ সৌম্য সরকার বললেন, ফেসবুকের নেতিবাচক মন্তব্য মাথায় গেঁথে গিয়েছিল সৌম্যর। সেটা থেকে দূরে ইতিবাচক কিছু খুঁজেই আবার ফিরে পেয়েছেন নিজেকে।

    মধ্যে সৌম্য সরকার যে খরার ভেতর দিয়ে গেছেন, সেই সময়টা নিজে যত দ্রুত সময় ভুলে যেতে চাইবেন। ২০১৫ সালে সোনালী ওই বছরের পরের তিন বছরে দেশের মাটিতে কোনো ফিফটি নেই। মধ্যে আয়ারল্যান্ডে দুইটি ফিফটি, আর টেস্টে আর টি-টোয়েন্টিতে কিছু ভালো ইনিংস। কিন্তু হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতোই হারিয়ে গেছে সেসব। সৌম্য কি হারিয়েই গেলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই সবচেয়ে বড় হাহাকার হয়ে থেকেছে তা।

    সেই হাহাকারের রেশটা শোনা গেল সৌম্যের মুখেও। বাইরের সমালোচনা, বিশেষ করে ফেসবুকে নেতিবাচক আলোচনা যে তাঁকেও প্রভাবিত করেছিল, সেটাই আজ বললেন ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে,  ‘আমার কাছে মনে হয় আমি বাইরের কথা বেশি শুনতাম। ফেসবুকটা যখন ব্যবহার করতাম, তখন নেতিবাচক মন্তব্য গুলো আসতো অনেক, যা মাথায় গেঁথে যেত।’

    এরপর খারাপ সমালোচনা ঝেড়ে ফেলে ভালো করার চেষ্টা করেছেন, সেটিও বললেন, ‘মানুষ ইতিবাচক জিনিসটা লিখেও না, নিতেও পারে না। এমন এক একটা হেডলাইন আসত, যেন আমি সবই খারাপ করেছি। আর আমরা বাংলাদেশিরা হেডলাইনটাই বেশি পড়ি। পরে ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করব ভেবেছি, নেতিবাচক জিনিস গুলো কম নিব, মানুষের সাথে কথা কম বলব। শুধু ইতিবাচক জিনিস নিয়েই বেশি ভাবার চেষ্টা করেছি।’

    এর মধ্যে সমালোচনা হচ্ছিল অন্য দিক থেকেও। খেলার বাইরে একটু বেশি বিশৃঙ্খল হয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সৌম্য নিজেও সেটি যেন খানিকটা আক্ষেপ করতে করতে স্বীকার করলেন, ‘অনুশীলনও কম করতাম তখন, যখন খারাপ যায় তখন সবই খারাপ যায়, ভাল করলেও খারাপ হয়। একটু বন্ধুদের সাথে বেশি সময় কাটাতাম সেই সময়ে।’

    সৌম্য এখন চাইবেন, সেই সেঞ্চুরিটা যেন আলেয়া না হয়, হয়ে থাকে আরও অনেক আলোকিত কিছুর শুরু হয়ে।