ইমরুলের আকুতি, 'ভাই আমাকে খেলতে দিন'
প্রশ্নটা করতেই ইমরুল কায়েস একরকম আকুতির সুরেই বললেন, ‘ভাই, আমাকে শুধু খেলতে দিন।’
কিন্তু কথাটা তো ইমরুল কায়েসের মুখে ঠিক মানায় না। এমন একটা দিনে তিনি এমন এমন মিনতিভরা কন্ঠে কথা বলবেন কেন? জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজসেরা হয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। আরেকটুর জন্য ভেঙে দিতে পারতেন তিন ম্যাচে বাবর আজমের বিশ্বরেকর্ড। আজ তো তাঁর খুবই আত্মবিশ্বাসী থাকার কথা।
ইমরুল জানেন, আসলে কাজটা সবে শুরু। এই সিরিজে ওপেনার হিসেবে সুযোগ পাওয়াটাই তো পাকেচক্রে। তামিম ইকবাল ফিট থাকলে নিশ্চিতভাবেই অন্তত ওপেনিং করার সুযোগ হতো না শুরু থেকে। সেটি পেয়ে কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন! প্রথম দুই ম্যাচে ১৪৪ ও ৯০ রানের পর আজ করলেন ১১৫। বিশ্বরেকর্ডের কথা বলতেই অবশ্য বললেন, ‘এটা মাথায় ছিল না। জানতাম না। আসলে খেলার সময় কোনটা রেকর্ড হচ্ছে কি হচ্ছে এটা মাথায় থাকে না। জাস্ট ফোকাস করি বল টু বলটা।’
সেটা অবশ্য না জানারই কথা। তবে ইমরুল জানতেন, আগের ম্যাচের মতো তীরে এসে তরী ডোবানো যাবে না। এবার সেঞ্চুরির সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। সেই সুযোগটা নিয়ে ধারাবাহিকতার প্রশ্ন তুলতেই ইমরুল আকুতির সুরে বললেন, ‘ভাই আমারে খেলতে দেন আমি অতো কিছু জানি না। কীভাবে কি। এত বড় প্লেয়ার হই নাই এখনো। তিনটা ম্যাচ ভাল খেলেছি আর চেষ্টা করব বাকি ম্যাচগুলো ভাল খেলার।’
তবে সম্পূরকভাবে প্রশ্ন চলে আসে, এমন একটা সিরিজের পরও কি দলে থাকতে পারবেন? ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তামিম ইকবাল ফিরলেই তো জায়গা অনিশ্চিত। ইমরুল অবশ্য দলের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন, ‘আমি তামিমকে নিয়ে কথা বলব না। কোন সন্দেহ নেই সে বাংলাদেশের গ্রেট প্লেয়ার। আসলে কে কোথায় খেলবে এটা টিম ম্যানেজমেন্টই সিদ্ধান্ত নেবে। এটা তাদের বিষয়। আমাদের কাজটা আমরা যখন মাঠে নামি শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করি। তারপরও বাংলাদেশে এখন হয়ে গেছে হেলদি প্রতিযোগিতা আমি মনে করি। আমাদের দলের জন্য খুব ভাল। বিশ্বকাপ পর্যন্ত যদি আমরা এটা ধরে রাখতে পারি তাহলে বিশ্বকাপে ভাল একটা ফল আশা করা যায়। এর ভেতর থেকেই আমরা হয়ত ঘুরেফিরে খেলব। খেলতে তো হবে কাউকে না কাউকে।’
আপাতত ইমরুল শুধু নিজের খেলাটা খেলতে পারলেই দলের লাভ!