প্রথম ইনিংসে ৫৯/৮ স্কোরেই ইনিংস ঘোষণা ঢাকা মেট্রোর
২য় স্তর
ঢাকা মেট্রো- ঢাকা বিভাগ, বগুড়া
টস- ঢাকা বিভাগ (ফিল্ডিং)
১ম দিনশেষে
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৫৯/৮ ডিক্লে. (আশরাফুল ১৪, শালিক ৪/১৫, সুমন ৩/৩২)
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংস* ১৬৭/৩ (রনি ৮৬, সাইফ ৪৯, অনিক ২/২৭)
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংসে ৭ উইকেটে ১০৮ রানে এগিয়ে
স্কোরবোর্ডে ৫৯ রান, পড়ে গেছে ৮ উইকেট। ম্যাচের প্রথম দিন, এই অবস্থাতেই ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন ঢাকা মেট্রো অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব! প্রতিপক্ষ ঢাকা বিভাগকে অতিরিক্ত দশমিক পাঁচ বোনাস পয়েন্ট দেবেন না বলেই এমন সিদ্ধান্ত তার। প্রথম দিনশেষে ৭ উইকেট বাকি রেখে ১০৮ রানে এগিয়ে গেছে ঢাকা।
জাতীয় লিগের এবারের নিয়ম অনুযায়ী- প্রতিপক্ষর প্রতি ইনিংসে ১০০ ওভারের ভেতরে পঞ্চম, সপ্তম ও নবম উইকেটে ০.৫ করে বোনাস পয়েন্ট পাবে প্রতি দল। সেক্ষেত্রে মেট্রোর কাছ থেকে ১টি বোনাস পয়েন্ট পেয়ে গিয়েছিল ঢাকা, বাড়তি ০.৫ পয়েন্টই তাদেরকে আর দিতে চায়নি আইয়ুবের দল।
বগুড়ায় টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল ঢাকা বিভাগ, ১৮ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন মেট্রোর তিন ব্যাটসম্যান। সাদমান ইসলামকে এলবিডব্লিউ করেছেন সালাউদ্দিন শাকিল, মোহাম্মদ নাঈম ক্যাচ দিয়েছেন মোশাররফ রুবেলের বলে, মার্শাল আইয়ুব বোল্ড শাকিলের বলে।
চতুর্থ উইকেটে শামসুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ২০ রানের জুটিই মেট্রোর ইনিংসের সর্বোচ্চ, এরপর ২১ রানের ব্যবধানে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট। শালিক ছিলেন বিধ্বংসী, ১৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সুমন খান, আর ১ উইকেট নিতে ৫ রান খরচ করেছেন মোশাররফ।
জাতীয় লিগে সর্বনিম্ন রানে অল-আউট হওয়ার রেকর্ডটিও এই ঢাকা মেট্রোর, ২০১৪ সালে এই ভেন্যুতেই রংপুরের বিপক্ষে ৪৮ রানে অল-আউট হয়েছিল তারা। এবার দ্বিতীয় স্তরে ২০.৫৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে তারাই।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১ রানে ওপেনার রকিবুল হাসানকে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ, কাজী অনিকের বলে তিনি হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ২য় উইকেটে সাইফ হাসানের সঙ্গে এরপর ১২০ রান যোগ করেছেন রনি তালুকদার। ফিফটি থেকে ১ রান দূরে আরাফাত সানির বলে ক্যাচ দিয়েছেন সাইফ, আর সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরে অনিকের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন রনি। দিনশেষে ঢাকা বিভাগের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শুভাগত হোম ও তাইবুর রহমান।
১ম স্তর
রংপুর-রাজশাহী, রংপুর
টস- রাজশাহী (ফিল্ডিং)
রংপুর ১ম ইনিংস* ২৩০/৫ (রাকিন ৭৯, নাঈম ৬৩*, সানজামুল ৩/৪১)
প্রথম স্তরে শীর্ষ দুই দলের লড়াই। রংপুরে স্বাগতিকদের সঙ্গে রাজশাহীর প্রথম দিনের খেলাও হলো তেমনই। রাকিন আহমেদের ৭৩ ও নাঈম ইসলামের অপরাজিত ৬৩ রানে প্রথম দিনে ২৩০ রান তুলেছে রংপুর, তবে হারিয়েছে ৫ উইকেট।
দলীয় ৩৩ রানে ওপেনার ফারদিন আহমেদকে বোল্ড করেছেন শফিকুল ইসলাম, ২য় উইকেটে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে এরপর রাকিন যোগ করেছেন ৭৬ রান। মাহমুদুলকে এলবিডব্লিউ করে রাজশাহীকে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। নাঈমের সঙ্গে রাকিনের জুটি এরপর ৪৯ রানের। ৭৯ রান করে সানজামুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়েছেন রাকিন, সোহরাওয়ার্দি শুভ ও তানভীর হায়দারকেও এরপর ফিরিয়েছেন সানজামুল। ১১১ বলে ফিফটি ছোঁয়া নাঈমের দিনশেষে সঙ্গী ধীমান ঘোষ।
জাতীয় লিগে প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচে স্বাগতিক বরিশালের প্রতিপক্ষ খুলনা, প্রথম দিন সেখানে বৃষ্টির কারণে শুরু হতে পারেনি খেলা। একই অবস্থা কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেটের ম্যাচেও।