• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    শুভাগতর সেঞ্চুরি, সানজামুলের ৭ উইকেট

    শুভাগতর সেঞ্চুরি, সানজামুলের ৭ উইকেট    

     জাতীয় লিগে ৫ম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনও খেলা শুরু হতে পারেনি বরিশাল ও কক্সবাজারে। বরিশাল-খুলনা ও সিলেট-চট্টগ্রামের ম্যাচ এখনও শুরুর অপেক্ষায়। অন্য দুই ম্যাচে আলো কেড়েছেন সানজামুল ইসলাম ও শুভাগত হোম চৌধুরি।  


    ১ম স্তর

    রংপুর-রাজশাহী, রংপুর 
    টস- রাজশাহী (ফিল্ডিং)
    ২য় দিন শেষে 
    রংপুর ১ম ইনিংস ৩৩৬ (নাঈম ৮৯, রাকিন ৭৯, ধীমান ৫৭, সানজামুল ৭/৬৯)
    রাজশাহী ১ম ইনিংস* ৬৪/২ 


    আগেরদিন ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সানজামুল, এদিন নিয়েছেন আরও ৪টি। তার বোলিং তোপে ২৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে রংপুর, নাঈম ইসলাম ও ধীমান ঘোষের ফিফটিতে যারা করেছে ৩৩৬ রান। 

    আগের দিন ৩২ রানে অবিচ্ছিন্ন ছিল নাঈম ও ধীমানের জুটি, এদিন তারা যোগ করেছেন আরও ৭৭ রান। ১৫৬ বলে ৫৭ রান করা ধীমানকে ক্যাচ বানিয়ে সে জুটি ভেঙেছেন সানজামুল। ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন নাঈম, ধীমানের উইকেটের ৪ রানের ব্যবধানে তাকে বোল্ড করেছেন শফিকুল। নাঈম খেলেছেন ২৮২ বল, মেরেছেন ১০টি চার। 

    একদিকে ২৩ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক সাজিদুল হক, তবে আরেক দিকে রবিউল, সনজিত ও শুভাশীষকে দ্রুতই ফিরিয়েছেন সানজামুল। ৬৯ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার, ক্যারিয়ারে ১৪তম বার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন তিনি। 

    ব্যাটিংয়ে নেমে এরপর চাপে পড়েছিল রাজশাহীও, ৪ রানেই সাব্বির হোসেন হয়েছেন কট-বিহাইন্ড, রবিউলের বলে। এরপরই ‘নিরাপদ পথ’ বেছে নিয়েছে রাজশাহী, রান তোলার চেয়ে উইকেট ঠেকানোর দিকেই মনযোগ ছিল তাদের। মাইশুকুরের জন্য অবশ্য কাজে দেয়নি এ নীতি, ৪৫ বলে ৩ রান করে রবিউলকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি, ২২ রানে তারা হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট। 

    বাকি সময়টা জুনাইদ সিদ্দিক ও ফরহাদ হোসেন নিরাপদে পার করিয়েছেন রাজশাহীকে, ৪১ ওভার খেলে ৬৪ রানে দিন শেষ করেছে রাজশাহী। 

     

    ২য় স্তর 

    ঢাকা মেট্রো- ঢাকা বিভাগ, বগুড়া 
    টস- ঢাকা বিভাগ (ফিল্ডিং) 
    ২য় দিন শেষে
    ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৫৯/৮ ডিক্লে. (আশরাফুল ১৪, শালিক ৪/১৫, সুমন ৩/৩২) ও ২য় ইনিংস* ৫৯/২ 
    ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংস ৩৮৬ (শুভাগত ১০৬, রনি ৮৬, তাইবুর ৫৬, সৈকত ৪/২১, শহিদুল ২/৪৭) 
    ঢাকা মেট্রো ২য় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৬৮ রানে পিছিয়ে 


    রংপুরের মতো ঢাকারও ব্যাটিংয়ের শেষ অংশ ধসে গেছে, এখানে এর দায়টা মেট্রোর পেসার সৈকত আলির। ৩২ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে ঢাকা, শুভাগত হোমের সেঞ্চুরি ও তাইবুরের ফিফটির পর তারা তুলেছে ৩৮৬ রান। 

    চারে নেমেছিলেন শুভাগত, চতুর্থ উইকেটে তাইবুরের সঙ্গে তার জুটি ১৫৭ রানের। ৪৯ বলে ফিফটি করেছেন, সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১১৮ বলে। প্রথম শ্রেণিতে এটি ১০ম সেঞ্চুরি তার। ১০৬ রান করে শহিদুলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি, তার আগের ওভারেই ৫৬ রান করে আরাফাত সানির বলে বোল্ড হয়েছেন তাইবুর। 

    ৬ষ্ঠ উইকেটে নাদিফ চৌধুরির সঙ্গে ৩৪ রান যোগ করেছিলেন আব্দুল মজিদ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩৯ রান করে আউট হয়েছেন মজিদ, তার আগেই ধস নেমে গেছে তাদের ইনিংসে। মোশাররফ, শাকিল ও সুমন মিলে করেছেন ৩ রান, তিনজনকেই ফিরিয়েছেন সৈকত। 

    ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ নাঈম ও তাইবুর রহমানের উইকেট হারিয়েছে মেট্রো, তবে তার আগে উঠেছে ৫৯ রান। প্রথম ইনিংসে এ রানেই থমকে দাঁড়াতে হয়েছিল তাদের।