• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    'সাকিবই আমার দেখা সেরা ট্যাকটিক্যাল অধিনায়ক'

    'সাকিবই আমার দেখা সেরা ট্যাকটিক্যাল অধিনায়ক'    

    জুনে দায়িত্ব নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের। স্টিভ রোডসের প্রথম ‘মিশন’ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর, সেখানে টেস্ট সিরিজে সাকিব আল হাসানের পর ওয়ানডেতে কাজ করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে। এরপর টি-টোয়েন্টিতে আবার ফিরেছেন সাকিব, ব্যাটনটা দিয়ে গেছেন মাশরাফিকে। এশিয়া কাপ আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে রোডস মাশরাফিকেই পেয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে, এবার সাকিবের চোটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সেই ভূমিকা নিতে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহকে। তিন অধিনায়কের সঙ্গে কাজ করাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং, আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পর জানতে চাওয়া হয়েছিল রোডসের কাছে। বাংলাদেশ কোচ এখন পর্যন্ত তাঁর দেখা ‘সেরা ট্যাকটিক্যাল’ অধিনায়ক রায় দিয়ে বড় একটা প্রশংসাপত্রই দিলেন সাকিবকে।

    কাকতালীয়ভাবে সাকিবের সঙ্গে রোডসের শুরুর স্মৃতিটাই ভুলে যাওয়ার মতো, দুই টেস্ট সিরিজেই করতে হয়েছিল আত্মসমর্পণ। তবে রোডস সাকিবকে বড় একটা প্রশংসাপত্রই দিলেন, ‘এখন পর্যন্ত যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাদের মধ্যে ট্যাকটিক্যালি সাকিবই সেরা। তার শক্তির জায়গা অনেক। সে আসলেই খুব ভালো একটা অধিনায়ক।’ মাশরাফির গলায়ও পরিয়ে দিয়েছেন একটা মণিহার, ‘ম্যাশও দারুণ একজন মানুষ কাজ করার জন্য। সে সাকিবের থেকে ভিন্ন,  তার আবেগ ও গর্বের জায়গাটা অনেক বেশি। সাকিবও সেটি করে, তবে ম্যাশ সেটি বেশি প্রকাশ করতে পারে।  ক্রিকেটারদের কাছ থেকে তার প্রত্যাশাটা সে জানে,  সতীর্থদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে পারে। সে একজন একজন যোদ্ধা এবং দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে।  ম্যাশের সাথে কাজ করাটাও উপভোগ করছি।’

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে মাত্র কাজ করছেন। নতুন অধিনায়কের সঙ্গে অভিজ্ঞতাটা পুরোপুরি বুঝে উঠতে আরও একটু সময় লাগবে তাঁর, ‘ রিয়াদ এখন  নতুন অধিনায়ক হয়েছে। তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি বলতে না পারলেও শুরুর দিকে আমরা কয়েকটি সংক্ষিপ্ত মিটিং করেছিলাম দল নির্বাচনের ব্যাপারে। আশা করি নির্বাচকেরা সেগুলো দেখভাল করবে। আশা করি তাঁর (রিয়াদ) সাথে আরেকটি মিটিং করবো।’

    কিন্তু তিন জন আলাদা অধিনায়কের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা আসলে কতটা চ্যালেঞ্জের? রোডস মানলেন,  এটা তাঁর ব্যবস্থাপনা দক্ষতার একটা পরীক্ষাও, ‘অবশ্যই আমি কতটা ভালোভাবে সামলাতে পারি এটা তাঁর একটা পরীক্ষা। আর অবশ্যই আবেগিক দক্ষতারও। আমি কোনো বিশেষজ্ঞ নই, তবে আশা করছি আমি আমার নিজস্ব ধাঁচেই আলাদা আলাদা মানুষদের সাথে মানিয়ে নিতে পারব। কাজটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং, তবে অসম্ভব নয়। কারণ আমি একজন পেশাদার কোচ এবং আমি যদি নতুন কারও সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারি তাহলে এটা কঠিন কিছু নয়।’

    সাফল্য অনেক স্মৃতিকেই মধুর করে দেয়। সাকিব আর মাশরাফির সঙ্গে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন রোডস, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পাবেন তো?