• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    টেস্টে ফিরছে 'মাহমুদউল্লাহ-ব্র্যান্ড'

    টেস্টে ফিরছে 'মাহমুদউল্লাহ-ব্র্যান্ড'    

    মাহমুদউল্লাহ নিজেকে একটু দুর্ভাগা মনে করতেই পারেন। এক দশকের বেশি সময় পার করে ফেলেছেন ক্রিকেট-ক্যারিয়ারের। অনেক দিন ধরেই এই টেস্ট দলের সবচেয়ে সিনিয়রদের একজন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম। তারপরও পাকাপাকি অধিনায়কত্ব এখনো পাওয়া হয়নি তাঁর। এই বছরের চট্টগ্রামে একরকম হুট করেই দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। সিলেটে অবশ্য আগে থাকেই জানতেন, অধিনায়কত্বটা উঠছে তাঁর হাতে। সেটি যে উপভোগ করেন, আজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন অকপটে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কের ভাবনা এবার কেমন? জানালেন, খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দেওয়াটাই হবে তাঁর ব্র্যান্ড।

    এই কথাটাই তিনি বলেছিলেন এই বছরের গোড়ায়। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে সাকিব ছিটকে পড়ার পর হঠাৎ করেই টেস্টে টস করার দায়িত্বটা এসে পড়ল তাঁর কাঁধে। চট্টগ্রামের নিষ্প্রাণ ড্রতে অবশ্য ঝলকটা দেখাতে পারেননি। মিরপুর টেস্টেও যখন হারতে হয়েছে, প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, মাহমুদউল্লাহ কি হুট করে আসা চাপটা নিতে পারছেন না?

    মাহমুদউল্লাহর সেবার অবশ্য সেই অজুহাত দেওয়ার উপায় নেই। এশিয়া কাপের ওই চোটের পরেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে, সাকিব থাকছেন না জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট সিরিজে। এর মধ্যে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজও জিতেছে হেসেখেলে। মাহমুদউল্লাহ মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ারও কিছুটা সুযোগ পেয়েছেন। অধিনায়কতত্ব  পুরনো কথাটারই প্রতিধ্বনি তুললেন আজ, ‘এটা ঠিক যে অধিনায়কত্ব আমাকে আমার খেলায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ দেয়। আমাকে প্রভাবিত করে এবং বাড়তি দায়িত্ব এনে দেয় যে আমি যেন আমার বেস্ট আউটপুট টিমের জন্য দিতে পারি। আমার মনে হয় যদি অধিনায়কত্ব করি কিংবা না করি…আমার কাছে মনে হয় আমাকে আগে খেলোয়াড় হিসেবেও চিন্তা করতে হবে যে দলকে কিভাবে সার্ভিস দিচ্ছি। এটাও চিন্তা করি। এ দায়িত্বটা আসলে উপভোগ করি এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে পছন্দ করি। আমার মনে হয় এটা আমাকে খেলায়ও সাহায্য করে।’

    অথচ দেড় বছর আগে শ্রীলঙ্কা সফরে বাদ পড়ে তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এখনও অবশ্য টেস্টে নিজেকে প্রমাণের বেশ কিছু জায়গা আছে। সর্বশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০১০ সালে, গত ১৬ ইনিংসে ফিফটি মাত্র দুইটি। যে দুইটি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছেন, তার একটিতে করেছিলেন ৮৩। নিজেও মানলেন, ‘আমার মনে হয় আমার অনেক কিছুই প্রমাণ করার আছে, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। আমার মনে হয় আমার উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আমার জন্য এটা ভাল সুযোগ। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আমি চেষ্টা করব।’

     তাহলে এবার মাহমুদউল্লাহর ব্র্যান্ড কী হবে? খেলোয়াড় স্বাধীনতা দেওয়ার কথাই বললেন আগে, ‘আমি সবসময় প্লেয়ারদের ফ্রিডম দেয়ার পক্ষে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিডম দিলেই যে যার জায়গা থেকে পারফর্ম করার সুযোগটা বেশি থাকে। অনেক সময় অধিনায়কত্বটা গাট ফিলিংয়ের উপর নির্ভর করে। কিন্তু অনেক সময় গাট ফিলিংও কাজে নাও লাগতে পারে। আবার সিচুয়েশন অনুযায়ী অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারও রয়েছে।’

    জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুধু অধিনায়ক মাহমুউল্লাহর জন্য শুধু নয়, ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহর জন্যও বড় একটা সুযোগ।