সুযোগ কম, টেস্টের মূল্যটা তাই চড়া জিম্বাবুয়ের কাছে
চারদিনের টেস্ট, জিম্বাবুয়ে সেটা হারতে সময় নিয়েছিল দুই দিনেরও কম। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের পর দশ মাস আর খেলেনি জিম্বাবুয়ে। সিলেটে সেই খরাটা কাটছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হচ্ছে ৩ নভেম্বর। দীর্ঘ সংস্করণে জিম্বাবুয়ে অনিয়মিত, তাদের অনেক বড় বাধা সেটাই। তবে তাদের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা কাজে লাগাতে চান টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের পাওয়া স্বল্প সুযোগটাকেই। খুব বেশি খেলতে পারেন না বলে এটা মূল্যটা তারা খুব ভালভাবেই বোঝেন বলে ধারণা তার।
ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে জিম্বাবুয়ে, একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও সব মিলিয়ে ৬৬ ওভার খেলার সুযোগ পেয়েছে তারা। প্রস্তুতিটা তাই যুতসই হয়নি তাদের। তবে ওয়ানডে সিরিজে না কাজে লাগানো সুযোগগুলির দিকেই নজর মাসাকাদজার, “ওয়ানডেতে আমরা দারুণ কিছু জায়গায় গিয়েছিলাম, তবে শেষ পর্যন্ত কাজে লাগাতে পারিনি। ড্রেসিংরুমে এসব নিয়েই কথা হচ্ছে, সেসব জায়গা থেকে সুযোগগুলো নিজেদের পক্ষে নেওয়ার।”
“আমরা খুব বেশি দীর্ঘ-সংস্করণের ক্রিকেট খেলি না। আমরা এর মূল্যটা বুঝি। আমরা আগুন ঝরাতে প্রস্তুত। এ সংস্করণে বাংলাদেশের মিশ্র ইতিহাস, দুই দলের ক্ষেত্রেই তাই ভিন্ন ভিন্ন জিনিস দরকার পড়বে।”
“আমরা আরও টেস্ট খেলতে চাই, তবে সেটা হচ্ছে না। ছেলেদের উৎসাহিত করাটা তাই সহজ। তাদেরকে মাঠে নেমে সবকিছু দিতে বলাটাও কঠিন নয়, এমন সুযোগ তো আমরা সব সময় পাই না। এসব সুযোগ দুহাতে গ্রহণ করতে হবে, আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।”
টেস্টে দুই দলের শেষ দেখা হয়েছিল ২০১৪ সালের নভেম্বরে, সে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, ১৭টি নিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনারে কাবু হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। সাকিব এবার নেই, তাইজুলের সঙ্গে স্কোয়াডে আছেন নাজমুল। বাঁহাতি স্পিনের কথা বললেন মাসাকাদজাও, “এবার তাদের কম বাঁহাতি স্পিনার আছে, এটা বাংলাদেশের শক্তির জায়গা। আমরা দেশ ছাড়ার আগে এটি নিয়ে কাজ করেছি। বাঁহাতি স্পিনে অনেক অনুশীলন করেছি। স্পিনারদেরকে সামলাতে সেটাই যথেষ্ট হওয়ার কথা।”