নাজিম উদ্দিনেরই থাকল রেকর্ডটা, অপেক্ষায় মিঠুন
রেকর্ডটা হতে পারত মোহাম্মদ মিঠুনের। এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৮৮টি, টেস্ট অভিষেকের আগে সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার বাংলাদেশের রেকর্ডটাও হয়ে যেতে পারত আজ। কিন্তু আপাতত সিলেটে অপেক্ষাতেই থাকতে হলো মিঠুনকে, আর সেই রেকর্ডের কাছে গিয়েও ছোঁয়া হলো না আরিফুল হকের। সেটির জন্য অবশ্য আরিফুলের মোটেই আক্ষেপ থাকার কথা নয়।
সেই ২০০৬ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল মিঠুনের। এরপর এক যুগ কেটে গেছে, ম্যাচ খেলেছেন ৮৮টি। আজ অভিষেক হলে রেকর্ডটাও হতো তাঁরই। মিঠুন সেটা না ছোঁয়ায় শেষ পর্যন্ত সেটি আছে নাজিম উদ্দিনেরই। টেস্ট অভিষেকের আগে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার রেকর্ডটা তাঁরই আছে। ২০০২ সালে রাজশাহীর হয়ে জাতীয় লিগের ম্যাচ দিয়ে শুরু চট্টগ্রামের এই ব্যাটসম্যানের। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট অভিষেকের আগে নাজিম উদ্দিন প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৮১টি। অবশ্য অভিষেকের পর আর মাত্র দুইটি টেস্ট খেলতে পেরেছেন।
এই ম্যাচেই অবশ্য দুজন এই তালিকার শুরুর দিকে ঢুকে গেছেন। আরিফুল হকের প্রথম শ্রেণি অভিষেকও মিঠুনের সঙ্গে একই বছরে, ২০০৬ সালে। বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন এই বছরই, ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি খেললেও টেস্ট ক্যাপটা পাওয়া হয়নি তাঁর। নাজমুল অপুর প্রথম শ্রেণিতে অভিষেক ২০১০ সালে, এরপর ৫৪টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন শেষ পর্যন্ত। আজ টেস্ট অপেক্ষাটা ফুরোল অপুরও।
এই তালিকা একেবারে বিপরীত প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন দুজন- মাশরাফি বিন মুর্তজা ও নাজমুল হোসেন। প্রথম শ্রেণিতে খেলার আগেই দুজন পেয়ে গেছেন টেস্ট ক্যাপ, একটি করে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পর যেমন পেয়েছেন মোহাম্মদ রফিক ও বিকাশ রঞ্জন দাশ, দুজনই খেলেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে।
আর যদি বাংলাদেশ থেকে বলয়টা পুরো ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, টেস্ট অভিষেকের আগে সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ইংলিশদের জয়জয়কার। ইংলান্ডের উইলিয়াম অ্যাস্টিল টেস্ট অভিষেকের আগে খেলেছিলেন ৪২৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। এই তালিকায় প্রথম ত্রিশের মধ্যে ইংল্যান্ডের বাইরে আছেন শুধু একজন। তিনি নিজ নামে না হলেও বাবার নামে বিখ্যাত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি জর্জ হেডলির ছেলে রন হেডলি টেস্ট অভিষেকের আগে খেলেছিলেন ৩৯১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ।
টেস্ট অভিষেকের আগে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ
নাজিম উদ্দিন (৮১)
আরিফুল হক (৭৬)
শামসুর রহমান (৬৬)
মার্শাল আইয়ুব, আবু জায়েদ চৌধুরী (৬২)
জহুরুল ইসলাম, সানজামুল ইসলাম (৬০)
জিয়াউর রহমান (৫৮)
ইলিয়াস সানি (৫৬)
নাজমুল ইসলাম (৫৪)