• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    সিলেটের মাঠে আবারও দর্শক, প্রশ্ন নিরাপত্তা নিয়ে

    সিলেটের মাঠে আবারও দর্শক, প্রশ্ন নিরাপত্তা নিয়ে    

    প্রথম দিন এক কিশোর ঢুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন মুশফিকুর রহিমকে। তৃতীয় দিনে এসে আবারও সিলেটের মাঠে অনাহূত আগন্তুক। এবার অবশ্য নির্দিষ্ট কার দিকে গেছেন তা বোঝা যায় নি, উইকেটের পর উদযাপন করতে থাকা পুরো বাংলাদেশ দলই ছিল কেন্দ্রবিন্দু। তবে এমন একটা ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে বিসিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

    ক্রিকেট মাঠে দর্শকের ঢুকে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। দুই বছর আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজে এক দর্শক মাঠে ঢুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। তবে দুই দিনের মধ্যে দুইবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, বিসিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ঠুনকো। দুই দিনই পূর্ব দিকের গ্যালারিতেই হয়েছে ঘটনাটা। আজ যেমন হয়েছে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ৪১তম ওভারের পর। লাঞ্চের পর তাইজুল ইসলামের বলে মাত্রই আউট হয়ে গেছেন পিটার মুর, বাংলাদেশ দল পেয়েছিল একটু পানি পানের উপলক্ষ। এই সময়েই মাঠে হঠাৎ করে ঢুকে যান এক লোক। আগের ম্যাচের পর আজ অবশ্য কেউ অতটা হতভম্ব হয়নি। এবার অবশ্য ওই উটকো দর্শক আগের দিনের মতো এতোটা সময় পায়নি।

    তবে দুইবার একই ঘটনা ঘটার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গেছে নিরাপত্তা দিনে। দুই দিনই পূর্ব গ্যালারি থেকে হয়েছে এই কাজ, দুই দিনই কোনো একটা বিরতির পর। বিসিবি নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মেজর অবঃ হোসেইন ইমাম স্বীকার করলেন, তাদের লোকবলের স্বল্পতা আছে, ‘বেষ্টনি আরও উঁচু করতে হবে। প্রয়োজনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হবে। আমাদের নিরাপত্তা সদস্য মাত্র ২০ জন। তাদের পক্ষে পুরো মাঠ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের আরও একটু সচেতন হতে হবে। আমরা সামনের দিনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করবো।’

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে সময় ওই দর্শক ঢুকে পড়েছিল সেসময় পুলিশ সদস্যদের বেশির ভাগই খেতে গিয়েছিলেন, বিসিবির নিরাপত্তাকর্মীরাও সংখ্যায় বেশি ছিলেন না। তাদের অসতর্কতার সুযোগ নিয়েই আটফুট উঁচু ওই দেয়াল টপকে ঢুকে পড়ে দর্শক। এই দুই দিন না হয় দুর্ঘটনা হয়নি, পরের বার যে হবে না সেটা কে বলতে পারে?