'এই অবস্থা থেকে জিম্বাবুয়ের হারা কঠিন'
ইতিহাস বা পরিস্থিতি সবই জিম্বাবুয়ের পক্ষে। জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে আরও ২৯৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশেই চতুর্থ ইনিংসে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার কীর্তি নেই কোনো। জিম্বাবুয়ের কোচ লালচাঁদ রাজপুত অবশ্য তারপরও সতর্ক। শুধু স্বীকার করলেন, এই পরিস্থিতি থেকে হারা জিম্বাবুয়ের জন্য কঠিন।
রাজপুত অবশ্য প্রেরণা নিতে পারেন দিনের শেষ বল থেকে। লিটন দাসকে করা সিকান্দার রাজার বলটা বেশ টার্ন করেছিল, এলবিডব্লুর আবেদনও হয়েছিল। তবে রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি। কিন্তু বোঝা গেছে, শেষ দিনে কাজ কতটা কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য। রাজপুত বললেন, ‘চতুর্থ দিনে রান তাড়া করে জেতা সবসময়ই কঠিন, বিশেষ করে শেষ বলটা আমাদের জন্য বেশ আশার আলো দেখাচ্ছে।’ সেজন্য ক্যাচ ধরার কাজটা ঠিকঠাক করতে চান, ‘আমার মনে হয় অনেক ক্যাচ উঠবে, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সেগুলো যেন আমরা মিস না করি। কারণ আমরা সবাই জানি, ক্যাচই ম্যাচ জেতায়।’
কিন্তু জয়ের কথাটা এখনই জোর গলায় বলছেন না জিম্বাবুয়ে কোচ, ‘শেষ উইকেট না পড়া পর্যন্ত আপনি আসলে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেন না। আমরা ইতিবাচক দিকটাই দেখতে চাই, এবং আশা করি কাল দশ উইকেট আমরা নিতে পারব।’ অবশ্য শেষ বিকেলে খেলা আগেভাগেই শেষ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ এক দুইটি উইকেট না নিতে পেরে আফসোস থাকতে পারে রাজপুতের। কাল সকালে খেলা আগেভাগে শুরু হবে। সেই সুবিধাটা তখন কাজে লাগতে পারে বলে মনে করেন, ‘এক দুই উইকেট পেলে তো ভালোই হতো। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য খেলা আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে। কাল সাড়ে নয়টায় শুরু হবে খেলা, আশা করি আমরা শুরুতে কিছু দ্রুত উইকেট নিতে পারব। আমাদের পথে রাখতে যা সাহায্য করবে।’
আভাস দিলেন, কাল স্পিনারদের ওপর আরও বেশি নির্ভর করবে জিম্বাবুয়ে, ‘আমাদের মিডিয়াম পেস আর স্পিন দুইটিই কাজে লাগানোর সুযোগ আছে। তবে বেশির ভাগ বল স্পিনাররা করবে বলেই আমার মনে হয়। এই দুইটির ভারসাম্যটা বের করতে হবে আমাদের। আশা করি নতুন বলে আমরা এক দুই উইকেট নিতে পারব, প্রথম ইনিংসে পেসাররা খুব ভালো করেছে। তবে স্পিনের ওপরেই আমরা বেশি জোর দেব।’