শেষের শুরুতে রাজিনের ২০১ বলে ৬৭
১ম স্তর
রাজশাহী-বরিশাল, রাজশাহী
বরিশাল ১ম ইনিংস ৯৭ অল-আউট (আল-আমিন ২৫, মোসাদ্দেক ২২, মোহর ৫/২৪, শফিকুল ৩/২০)
রাজশাহী ১ম ইনিংস* ১২৪/৬ (জুনাইদ ৭২*, জহুরুল ২৫, মনির ২/৮, রাব্বি ২/৪৬)
রংপুর-খুলনা, বগুড়া
খুলনা ১ম ইনিংস* ২১৭/৮ (মইনুল ৪৮*, জিয়াউর ৪০, রবিউল ৩/৫৪, তানভীর ২/৩)
শেষ রাউন্ডে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বরিশাল। আল-আমিনের ২৫, মোসাদ্দেকের ২২ রানের পর শেষ ব্যাটসম্যান তানভীরের ১৭ রানে বরিশাল যেতে পেরেছে ৯৭ রান পর্যন্ত। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে নেমে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মোহর শেখ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে যিনি খেলেছিলেন। মাত্র ২৪ রান দিয়েছেন। সঙ্গে শফিকুলের ৩ ও ফরহাদ রেজার ২ উইকেটে ৩৮.২ ওভারেই গুটিয়ে গেছে বরিশাল। এবারের জাতীয় লিগে দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটিই, এর আগে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১৩৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বরিশালই। ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য স্বস্তিতে নেই রাজশাহীও, তবে তাদের ভরসা হয়ে টিকে আছেন জুনাইদ সিদ্দিক, ৭২ রানে। তার সঙ্গী ফরহাদ রেজা।
এক নম্বর রাজশাহীর মতো না পারলেও বগুড়ায় খুলনাকে বোলিংয়ে চাপে রেখেছে রংপুরও। ছয়-সাত-আটে নামা নুরুল, জিয়াউর ও মইনুলের যথাক্রমে ৩৬, ৪০ ও অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসে ২০০ পেরিয়েছে খুলনা। সাত বোলার ব্যবহার করেছে রংপুর। ৩টি উইকেট নিয়েছেন রবিউল, দুইটি করে নিয়েছেন সাজিদুল ও তানভীর। শেষ রাউন্ডের আগে প্রথম স্তরে শীর্ষে আছে রাজশাহী, দুইয়ে রংপুর।
জাতীয় লিগের এ মৌসুমে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন মার্শাল আইয়ুব
২য় স্তর
সিলেট-ঢাকা, কক্সবাজার
সিলেট ১ম ইনিংস* ২২০/৬ (রাজিন ৬৭, জাকের ৪০*, শুভাগত ২/৩৩, শাহাদাত ২/৫২)
ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার
মেট্রো ১ম ইনিংস* ২৬৫/৫ (আইয়ুব ১১০*, জাবিদ ৩০*, সাখাওয়াত ২/৭৬, নাঈম ২/৯৪)
ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন আগেই, এটাই শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ তার। রাজিন সালেহ শেষের শুরুতেও করলেন ফিফটি। টপ অর্ডারের ধসের পর রাজিনই আগলে রেখেছিলেন সিলেটকে, সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন অলক কাপালি ও শাহানূর রহমানকে। ২০১ বল খেলে ৬৭ রান করেছেন রাজিন, ক্রিজে ছিলেন ২৫৩ মিনিট। ৭ চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। প্রথম শ্রেণিতে এটি ৪৩তম ফিফটি তার। শাহাদাতের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন রাজিন। দিনশেষে ৪০ রানে অপরাজিত জাকের আলির সঙ্গী এনামুল হক জুনিয়র। দ্বিতীয় স্তরে সবার নিচে সিলেট, সবার ওপরে ঢাকা।
জাতীয় লিগে এর আগে দুইটি ফিফটি করেছিলেন, তবে মার্শাল আইয়ুবের মতো কারও জন্য যেন যথেষ্ট হচ্ছিল না সেটা। আইয়ুব সেঞ্চুরি করলেন শেষ ম্যাচে এসে, ২১১ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ে ১১০ রানে অপরাজিত এই ডানহাতি। মেট্রোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস আজমির আহমেদের, ৩৫ রানের। সাখাওয়াত হোসেন ও নাঈম হাসান নিয়েছেন জোড়া উইকেট করে, তবে টলাতে পারেননি আইয়ুবকে।