উইকেট বুঝতে ভুল করেছিল বাংলাদেশ!
একাদশে কেন একজন মাত্র পেসার নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, সেই উত্তরটা কোচ বা অধিনায়কের কেউই সবচেয়ে ভালো দিতে পারতেন। সিলেট টেস্টের প্রথম দুই দিন শেষেও সেই উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তৃতীয় দিনে এসে বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডসকে কাঠগড়ায় তাই দাঁড়াতেই হলো। রোডস সেখানেই স্বীকার করলেন, উইকেট বুঝতে একটু ভুলই করে ফেলেছে বাংলাদেশ।
উইকেটে যে টার্ন থাকবে, তিন স্পিনার নিয়ে একাদশ ঘোষণার পরেই সেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু মিরপুরের মতো এখনও সেরকম র্যাঙ্ক টার্নার হয়ে যায়নি সিলেট। দুই দলের ব্যাটসম্যানরা যতটা ভালো বলে আউট হয়েছেন, তার চেয়েও বেশি উইকেট দিয়ে এসেছেন। বরং জিম্বাবুয়ের দুই পেসার কাইল জার্ভিস ও টেন্ডাই চাতারাই ছিলেন মূল হন্তারক, উইকেট থেকে অল্প হলেও সাহায্য পেয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র পেসার আবু জায়েদ রাহীও। রোডসও সংবাদ সম্মেলনে তা স্বীকার করলেন, ‘উইকেটটা আমাদের একটু অবাক করেছে। দুই প্রান্তেই উইকেট ছিল বেশ শুকনো, প্রথম দিনের আগে মাঝের অংশটুকুও বেশ শুষ্ক ছিল। আমরা ভেবেছিলাম উইকেটে আরেকটু বেশি স্পিন ধরবে, কিন্তু সেটা হয়নি। আমার মনে হয় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চট্টগ্রামেও এরকম পরিস্থিতি ছিল। সবাই মনে করেছিল উইকেট থেকে টার্ন মিলবে, সেটা হয়নি। স্পিন হচ্ছে, কিন্তু নিয়মিত নয়। এরকম ডেলিভারি থেকে আপনি বেশির ভাগ সময়েই রান পাবেন। উইকেট পড়া আসলে সহজ কাজ নয়। অনেক অভিজ্ঞতা নিয়েও এখানে অনেক সময় ভুল হয়ে যেতে পারে। আমাদের মনে হয়েছিল এই উইকেটে আরও বেশি টার্ন হবে।’
সম্পূরকভাবেই এক পেসার নিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠল। বিশেষ করে রোডসের জন্য সেটা আরও বেশি পীড়াদায়ক হওয়ার কথা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ফেরার পরেই যিনি পেস বোলিং সংস্কৃতিটা ধীরে ধীরে বদলানোর জন্য তাগিদ দিয়েছিলেন। রোডস স্বীকার করলেন, এই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিংটা ঠিক ভারসাম্যপূর্ণ ছিল না, ‘আমি খুব করেই চাইছি যেন বাংলাদেশ বেশ কিছু দ্রুতগতির বোলার পায়। বিশেষ করে আমি চাই বিদেশে খেলার আগে তারা যেন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। আমরা সেটাই চেয়েছিলাম, কিন্তু শেষ সিদ্ধান্ত ছিল উইকেটের ওপর। আমাদের মনে হয়েছে এক পেসার আর তিন স্পিনার নিয়ে নামাটা আমাদের জন্য ভালো। হ্যাঁ, এটা ভারসাম্যপূর্ণ আক্রমণ নয়। আপনি বলতে পারেন এটা ৫০-৫০, তবে আমরা ২০ উইকেট কিন্তু নিয়েছি। আমরা বরং প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের জন্যই খানিকটা বিপদে পড়েছি। ’