এনামুলের হ্যাটট্রিকের পর রাজিনের 'শেষ লড়াই'
২য় স্তর
২য় দিনশেষে
সিলেট-ঢাকা, কক্সবাজার
সিলেট ১ম ইনিংস ২৩৮ (রাজিন ৬৭, জাকের ৫৫, শাহাদাত ৩/৬৪, সাইফ ২/১৩, মোশাররফ ২/৬২)ও ২য় ইনিংস* ১০২/৪ (রাজিন ৪০*, কাপালি ৩৯, শাহাদাত ২/১৯)
ঢাকা ১ম ইনিংস ৩৪৬ (মজিদ ১০৪, মোশাররফ ৫০, রকিবুল ৪০, এনামুল ৫/৮৭, এবাদত ২/৫৯)
আগের দিন হ্যাটট্রিক করেছিলেন মনির হোসেন, এদিন করলেন এনামুল হক জুনিয়র। জাতীয় লিগে এ নিয়ে এবার হলো তিনটি হ্যাটট্রিক। তাইবুর রহমান, আব্দুল মজিদ, নাজমুল হোসেন মিলন- ৭৭তম ওভারের শেষ তিন বলে এনামুল বোল্ড করেছেন তিনজনকেই। ক্যারিয়ারে এটি প্রথম হ্যাটট্রিক এই বাঁহাতি স্পিনারের। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ঢাকা এদিন যোগ করতে পেরেছে ৬ উইকেটে ১০০ রান। এনামুল সব মিলিয়ে নিয়েছেন নিয়েছেন ৫ উইকেট, ক্যারিয়ারে ৩৪তম বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট হলো তার। এনামুলের হ্যাটট্রিকের পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা, নয়ে নামা মোশাররফ হোসেন ও শেষ ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন সেই ধস সামাল দিয়েছেন, শেষ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৬৬ রান। ১৩৬ বলে ৫০ করেছেন মোশাররফ, শাহাদাত অপরাজিত ছিলেন ৩৪ রানে।
১০৮ রানে পিছিয়ে আরেকবার রাজিনের ব্যাটে ভর দিয়েছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে ৩ উইকেট যাওয়ার পর নেমেছিলেন রাজিন সালেহ। এবার নামতে হলো ২৯ রানে ২ উইকেট যাওয়ার পর। এবার নামলেন ১০ রানে ২ উইকেট যাওয়ার পর। রাজিনের কাঁধে আরেকবার পড়লো সিলেটকে উদ্ধারের ভার, নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসে এসেও। অলক কাপালিকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে রাজিন যোগ করলেন ৭৬ রান। কাপালি ফিরেছেন, তবে ৪০ রান করে অপরাজিত রাজিন। ৬ উইকেট বাকি রেখে সিলেট পিছিয়ে ৬ রানে। প্রথম শ্রেণিতে নিজের শেষদিনও রাজিনকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে দলের প্রয়োজনে।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও সিলেটের জন্য ধ্বংসাত্মক ছিলেন শাহাদাত, ইমতিয়াজ ও জাকির হাসানকে ফিরিয়েছেন তিনি পরপর দুই ওভারে। শানাজ আহমেদ কিছুক্ষণ পর ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তাইবুরের বলে। রাজিন-অলকের লড়াই এরপরই।
শেষদিনের শুরুতে রাজিনের সঙ্গী এনামুল।
ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার
মেট্রো ১ম ইনিংস ৩২৮ অল-আউট (আইয়ুব ১১০, শরিফুল্লাহ ৪০, নাঈম ৪/৯৮, সাখাওয়াত ৩/১০৫)ও ২য় ইনিংস ৯৬/৩ (শামসুর ৩৭*, নাঈম ১/২০)
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ৩৪৫ (সাদিকুর ১০০, পিনাক ৭৬,ইয়াসির ৬৪, নাঈম ৪৩*, আবু হায়দার ৪/৯৭, অনিক ৩/৬৪)
ইয়াসির আলির ৬৪ ও নাঈম হাসানের ৪৩ রানে প্রথম ইনিংসে ১৭ রানের লিড নিয়েছে চট্টগ্রাম। দিনশেষে ৯৬ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছে মেট্রো। তাদের লিড ৭৯ রান।
দিনের শুরুতে সেঞ্চুরিয়ান সাদিকুর আউট হয়েছিলেন আশরাফুলের বলে বোল্ড হয়ে। মাহিদুল ইসলামকে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েছেন অধিনায়ক ইয়াসির, আবু হায়দারের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে। একাডেমি মাঠে ২৩৬ রানে দাঁড়িয়ে ৫ম থেকে ৭ম- ৩ উইকেট হারিয়েছিল মেট্রো, স্টেডিয়াম মাঠে ২৭৯ রানে দাঁড়িয়ে ৩ উইকেট হারিয়েছে চট্টগ্রাম। ইরফান, সাখাওয়াত ও হাসানকে নিয়ে চট্টগ্রামকে টেনেছেন নাঈম, লিড না দিয়ে উলটো লিড পেয়েছে তারা। আবু হায়দার নিয়েছেন ৪ উইকেট, কাজী অনিক নিয়েছেন ৩টি।
দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে মেট্রো। দুই অংকে পৌঁছেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাদমান বা আজমির। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান মার্শাল আইয়ুব নাঈমের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ৯ রানে। অবশ্য একপ্রান্তে অপরাজিত শামসুর রহমান, ৩৭ রানে। তার সঙ্গী ৭ রানে ব্যাটিং করা আশরাফুল।