জুনাইদের সেঞ্চুরিতেই রাজশাহীর ষষ্ঠ শিরোপার উল্লাস
স্কোর
বরিশাল ৯৭ ও ৩৪৬
রাজশাহী ১৬০ ও ২৮৪/৪ (জুনাইদ ১২০*, জহুরুল ৬৪)(লক্ষ্য ২৮৪)
ফলঃ রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী
সেই ২০১১-১২ সালে সর্বশেষ জাতীয় লিগের শিরোপা জিতেছিল রাজশাহী। ছয় মৌসুম পর জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে আরও একবার শিরোপা উঠল তাদের হাতে। তৃতীয় দিন শেষেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, জয় পেলেই খুলনার কাছ থেকে চ্যাম্পিয়নের ব্যাটন নেবে। শেষ দিনের সকালেই সেই আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলেছে। ২৮৪ রান তাড়া করে কাজটা সেরে ফেলেছে সকালের সেশনেই।
বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে দুই দলই প্রথম দুই ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। বরিশাল ৩৪৬ রানে অলআউট হওয়ার পর চতুর্থ ইনিংসে রাজশাহীর সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৪ রান। তৃতীয় দিনেই ১৮২ রানে ২ উইকেট নিয়ে সেই আনুষ্ঠানিকতা তারা সেরে রেখেছিল অনেকটাই। ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন জুনাইদ সিদ্দিকী, ২৫ রানে জহুরুল ইসলাম অমি। আজ সকালে দুজন যোগ করেছেন আরও ৭০ রান, রাজশাহীর জয়টা নিশ্চিত হয়ে গেছে তার আগেই। জহুরুল ৬৪ রানে আউট হয়ে গেলেও জুনাইদ ১২০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠে ফিরেছেন। এই মৌসুমে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এটি তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
জহুরুলের আউটের পর ফরহাদ হোসেনও বেশিক্ষণ টেকেননি, কিন্তু তাতে রাজশাহীর সমস্যা হয়নি কোনো। শেষ পর্যন্ত ৭৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই শিরোপার উল্লাস করেছে। দুই ইনিংস মিলে ৭৮ ও ১২০ রান করার জন্য জুনাইদ সিদ্দিকীই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
জাতীয় ক্রিকেট লিগে রাজশাহীর এটি পঞ্চম শিরোপা। ২০০৫-০৬ মৌসুমে প্রথমবার শিরোপা জয়ের পর ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত টানা চার মৌসুমে শিরোপা জিতেছিল রাজশাহী।