• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    তাইজুলদের সামলাতে ক্লুজনারকেই কৃতিত্ব দিলেন মুর

    তাইজুলদের সামলাতে ক্লুজনারকেই কৃতিত্ব দিলেন মুর    

    অভিজ্ঞতাটা পিটার মুরের জন্য ঠিক নতুন বলা চলে না । এশিয়ার স্পিন মৃগয়ায় এই প্রথম খেলছেন এমন নয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে একটি টেস্ট খেলেছিলেন গত বছর, প্রথম ইনিংসে ১৯ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৪০। সেই টেস্ট শেষ পর্যন্ত হেরে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে, তবে সিলেটের পিটার মুরের ৬৩ রানের ইনিংসটা বৃথা যায়নি। ১৭ বছর পর দেশের বাইরে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামসের সঙ্গে তাঁর প্রথম ইনিংসের ফিফটিই গড়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ের জয়ের ভিত। আর সেজন্য মুর কৃতিত্ব দিয়েছেন সাবেক ব্যাটিং কোচ ল্যান্স ক্লুজনারকে।

    ২০১৬ সালেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ক্লুজনার। গত বছর ত্রিদেশীয় সিরিজে এসেছিলেন বাংলাদেশেও। এরপর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট গেছে বড় পালাবদলের মধ্য দিয়ে, কোচিং স্টাফদের প্রায় সবাই বিদায় নিয়েছেন। ক্লুজনারও ছেড়েছেন ব্যাটিং কোচের চাকুরি। তবে মুর ভুলছেন না তাঁকে। আজ মিরপুরে জিম্বাবুয়ের অনুশীলনে মুর কৃতিত্ব দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অলরাউন্ডারকেই, ‘কীভাবে স্পিন সামলেছি, সেটা আমি আসলে ঠিক নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে ক্লুজনারের সাথে আমি গত বছর বাংলাদেশে এসেও অনেক কাজ করেছি। তিনি আমাকে ব্যাট কীভাবে প্যাডের সামনে আনতে হয়, সেটা নিয়ে ভালো ধারণা দিয়েছেন। এখানে তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। আর আমার মনে হয় আমি এই ব্যাপারটা নিয়ে বেশ খেটেছি। অবশ্যই জিম্বাবুয়েতে ওই অর্থে স্পিন বান্ধব উইকেট নেই, তবে তাঁর পরামর্শ আমাকে সাহায্য করেছে। এবার উপমহাদেশে এসে সেজন্যই স্পিনটা ভালোভাবে সামলাতে পেরেছি।

    স্পিনের বিপক্ষে নিজের রক্ষণটা এখন ভালো বলেই মুর বলছেন, ‘স্পিনের বিপক্ষে আমার রক্ষণ এখন আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। প্রথম টেস্টের আগে আমি এই ব্যাপারটা নিয়েই ভাবছিলাম। শুরুতে ব্যাট করলে আমার সেরা সুযোগ আসবে, সেটাও আমি জানতাম। আমি সেটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চেয়েছি, নিশ্চিত করতে চেয়েছি যেন গোটা দিন ব্যাট করতে পারি। আশা করি, পরের ম্যাচেও ধরে রাখতে পারব।’