ফিফটিও খেয়াল করেননি 'তন্ময়' মুমিনুল
দুজনই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। দুজনের জন্যই ইনিংসটা স্পেশাল। তবে মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহিমের উদযাপনটা গাঁথা রইল আলাদা সুতোয়। ফিফটি করে যেমন মুমিনুল খেয়ালই করেননি, সেঞ্চুরির পর অতি আবেগে দৌড় দিয়েছিলেন গ্যালারির দিকে। আর মুশফিক সেঞ্চুরির পরে ফেটে পড়েছিলেন বুনো উল্লাসে। সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য মুমিনুল নিজের দুই উদযাপনের কারণই ব্যাখ্যা করলেন আজ।
ফিফটির পরের উদযাপনটাই একটু চোখে পড়ার মতো ছিল। মুমিনুলের জন্য ফিফটিও ছিল একটু স্বস্তির উপলক্ষ, গত আট ইনিংসেই যে ৫০ করতে পারেননি একবারও! আজ ফিফটির পর ব্যাট উচিয়ে ধরা দূরে থাক, পঞ্চাশে পৌঁছেছেন সেটাও যেন খেয়াল করেননি। ম্যাচ শেষে মুমিনুল বললেন, ওই সময় এমনই ঘোরে চলে গিয়েছিলেন, ওই মুহূর্তটা খেয়ালই করেননি, ‘আমি আর মুশফিক ভাই এত ফোকাসে ছিলাম যে ফিফটি হয়েছে এটা ফোকাসে ছিল না। যতক্ষণ খেলা হয়েছে আউট হবে, আউট হবে এরকম ব্যাপার ছিল। পরিস্থিতির কারণে উদযাপন করা আসলে ভুলে গিয়েছি। আর গভীরে ঢুকে গিয়েছিলাম কি করতে হবে না করতে হবে ওই কারণে হয়ত ভুলে গিয়েছি।’
তবে সেঞ্চুরির পর যেন ড্রেসিংরুমের দিকে দৌড়ই দিলেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ওই মুহূর্তে আসলে কী করবেন সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি, ‘এক সময় আমরা কঠিন পরিস্থিতিতে ছিলাম, তারপর একশো করার পর চাপ থেকে বের হয়ে গেলাম। আর একশো করার পর একটা আবেগ কাজ করে। একশো করার পর আমার ভেতরও কাজ করছিল কীভাবে কি করব। খুব আবেগ কাজ করেছে।’
অন্য প্রান্তের সঙ্গী মুশফিককেও কৃতিত্ব দিলেন মুমিনুল, ‘আমার ক্ষেত্রে মুশফিক ভাই খুব সাহায্য করেছে। তিনি আমারে ভাল গাইড করেছেন। আমি মাঠে অনুভব করেছি কেন সে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন। মাঠে খেলার সময় এই জিনিসটা আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে। উনার কিছু কিছু উপদেশ, পরামর্শ এত ভাল ছিল, আমাকে ব্যাটিংয়ের সময় অনেক সাহায্য করেছে। উনার সাহায্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার ইনিংসে।