• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    এনামুল থেকে তাইজুল : টেইলরের 'স্পিন পরীক্ষা'

    এনামুল থেকে তাইজুল : টেইলরের 'স্পিন পরীক্ষা'    

    ২০০৫ সালে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এনামুল হক জুনিয়রের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ব্রেন্ডন টেইলর করেছিলেন ৭৮ রান। বাংলাদেশ টেইলরের প্রিয় প্রতিপক্ষের মতো, ক্যারিয়ার গড় ৩৩ থেকে বেড়ে ৫৮ হয়ে যায় তাদের বিপক্ষে।

    তবে দেশের বাইরে ব্রেন্ডন টেইলরের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল সেই ২০০৫ সালের ইনিংসটিই। এনামুল সে ম্যাচে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট, বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। ১৩ বছর পর, দেশের বাইরে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংস ছাড়িয়ে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন টেইলর। মিরপুরে আউট হলেন অবশ্য অফস্পিনারের বলে, তবে ক্যাচটা নিলেন এক বাঁহাতি স্পিনার। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মাঝে টেইলর বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলেন টানা তিন সেঞ্চুরি, তবে তিনটিই হারারেতে। 



    সাফল্য মিললেও বাংলাদেশকে বরাবরই কঠিন প্রতিপক্ষ মেনে এসেছেন টেইলর। তার মতে, বাংলাদেশের স্পিনাররা সবসময়ই কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন তার। মিরপুরের এই কন্ডিশনে এমন ইনিংসটাকে তাই এগিয়ে রাখতে চান তিনি, “অবশ্যই আমি বাংলাদেশের সঙ্গে বেশি খেলেছি, তবে তাদের স্পিনারদের কারণে সবসময়ই খেলাটা কঠিন ছিল। (আব্দুর) রাজ্জাক, সাকিব (আল হাসান), এমনকি মোহাম্মদ রফিকের সময়ও তারা কঠিন চ্যালেঞ্জ করেছে। হারারে বা বুলাওয়েতে খেললেও ব্যাপারটা কঠিনই ছিল। আজকের ইনিংস তাই আমার সেরাগুলোর একটি। আশা করি এই ম্যাচ থেকে আমরা যা পারি ইতিবাচক কিছু বের করে আনব।” 

    ২০১৪ সালে শেষ সিরিজে সময়টা ভাল যায়নি টেইলরের। এবার সিলেটে দুই ইনিংসেই আউট হয়েছিলেন তাইজুলের বলে, জোরের ওপর খেলতে গিয়ে, ইনিংস বড় করতে পারেননি একটিতেও। ভুলগুলো মিরপুরে শুধরে নিয়েছেন, আউট হওয়ার আগে সুইপ-রিভার্স সুইপগুলোতেও ছিল নিয়ন্ত্রণ। 

    এ কন্ডিশনে ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জটা বর্ণনা করেছেন টেইলর, “প্রথম অর্ধে ঠিকই ছিল। এরপর ভাঙতে শুরু করেছে পিচ, পরিবর্তনও এসেছে। তবে স্পিনাররা তো সবসময়ই আপনার দিকে ধেয়ে আসবে, তারা আপনাকে ছাড় দিবে না, স্কোর করাটা কঠিন বানিয়ে ফেলবে। আর বিশেষ করে ঢাকায় চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে তো ব্যাটিং শুধু কঠিনই হবে।” 

    টেইলরের ইনিংসের পরও ফলো-অন এড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে, পিছিয়ে আছে ২১৮ রানে। এ ম্যাচে ড্র করাটাই মিরাকল হবে বলে মনে করছেন টেইলর। মিরাকল না ঘটলে সিরিজ হবে ড্র। অবশ্য ১৭ বছর পর দেশের বাইরে টেস্ট জয়ের সুখস্মৃতি এরই মাঝে হয়ে গেছে তাদের। আর টেইলর পেয়েছেন সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের স্পিনারদের জয় করে। ইন-ফর্ম তাইজুলকে জয় করে।