ক্রুনাল-কোহলিতে সিডনিতে জিতে সিরিজ ড্র ভারতের
অস্ট্রেলিয়া ১৬৪/৬, ২০ ওভার (ফিঞ্চ ২৮, ক্যারি ২৭, স্টোইনিস ২৫, ক্রুনাল ৪/৩৬, কুলদিপ ১/১৯)
ভারত ১৬৮/৪, ১৯.৪ ওভার (কোহলি ৬১*, ধাওয়ান ৪১, রোহিত ২৩, জ্যাম্পা ১/২২, ম্যাক্সওয়েল ১/২৫)
ভারত ৬ উইকেটে জয়ী, সিরিজ ১-১ ড্র
এই দুইজনকে নিয়েই ছিল আলোচনা। ক্রুনাল পান্ডিয়াকে খেলানো, আর এমন সিদ্ধান্তে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব। গ্যাবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওঠা এসব প্রশ্নের দৃঢ় জবাবের ইঙ্গিত এমসিজিতে দিয়েছিলেন দুইজন, তবে বৃষ্টির কারণে সেটা করা হয়ে ওঠেনি পুরোপুরি। এসসিজিতে জ্বলে উঠলেন দুজনই। ক্রুনাল নিয়েছেন চার উইকেট, সীমিত ওভারে রানতাড়ায় আরেকটি মাস্টারক্লাস খেলেছেন কোহলি। ১-০তে পিছিয়ে থাকা ভারত সিডনিতে ৬ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ড্র করেছে সিরিজ।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়াকে ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ ও ডারসি শর্ট। ৯ম ওভারে ৬৮ রানের সে জুটি ভেঙে ভারতকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন কুলদিপ যাদব, তাকে সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজড ফিঞ্চ। ৬৮ তে ০ থেকে ৯০ রানে ৪ উইকেটে পরিণত হয়েছে এরপর অস্ট্রেলিয়া, কুলদিপের পর তিনটি উইকেটই নিয়েছেন পান্ডিয়া। পিচে বল হোল্ড করছিল, পান্ডিয়া কাজে লাগিয়েছেন সেটিই। শর্ট ও বেন ম্যাকডারমট পরপর দুই বলে হয়েছেন এলবিডব্লিউ- হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন ক্রুনাল। খানিক বাদে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে লং-অনে ক্যাচ দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল।
১৫ ওভারে ৪ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১০৭, তাদের প্রয়োজন ছিল গিয়ার বদলানো। ক্রুনালের শেষ ওভারে পরপর দুই চারে সেটা করলেন অ্যালেক্স ক্যারি, তবে আউটও হলেন সে ওভারেই। অবশ্য ছন্দটা পেয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মার্কাস স্টোইনিস ও ন্যাথান কোল্টার-নাইল মিলে শেষ চার ওভারে তুললেন ৪৪ রান। এসসিজিতে প্রথম ইনিংসে গড় স্কোরের চেয়ে ১ রান কম তুললো অস্ট্রেলিয়া।
সে সম্বল নিয়ে তাদের দরকার ছিল দ্রুত ব্রেকথ্রু। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা ইনিংসে একটি ছয়ও মারেননি, রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান মিলেই মারলেন চারটি। পাঁচ ওভারেই দুজন মিলে তুললেন ৬২ রান, এর মধ্যে পঞ্চম ওভারে স্টোইনিসের এক ওভারেই উঠেছে ২২ রান। অস্ট্রেলিয়াকে ছিটকে দেওয়ার শুরুর কাজটা দারুণভাবেই করেছেন ভারতের দুই ওপেনার। স্টার্কের ফুললেংথের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ধাওয়ান করেছেন ২২ বলে ৪১।
পরের ওভারে অ্যাডাম জাম্পার উইকেট-মেইডেন অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল। ১৩তম ওভারের শেষ বলে লোকেশ রাহুল ক্যাচ দিলেন ম্যাক্সওয়েলের বলে, পরের ওভারের প্রথম বলেই অ্যান্ড্রিউ টায়ের স্লো-বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে কট-বিহাইন্ড ঋশাভ পান্ট। শেষ ৬ ওভারে ভারতের প্রয়োজন দাঁড়ালো ৫৬ রানে, তবে ক্রিজে ছিলেন কোহলি, ২০ বলে ২৫ রানে।
টায়ের ওভারে চার-ছয়সহ উঠলো ১২, ম্যাক্সওয়েলের পরের ওভারে ১৩। পরের ওভারে কার্তিক মারলেন ছয়, ফিফটি হলো কোহলির, উঠলো ১১ রান। টায়-ম্যাক্সওয়েল-স্টার্করা পেলেন না কোহলির উইকেট, শেষ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার মেরে তিনি নিশ্চিত করলেন ভারতের জয়। ম্যাচসেরা হলেন ক্রুনাল। সিরিজসেরা হয়েছেন ধাওয়ান।