• অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    ধোনিই দলের সবচেয়ে নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেটার: কোহলি

    ধোনিই দলের সবচেয়ে নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেটার: কোহলি    

    খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেও তাঁর একাদশে থাকা নিয়ে উঠেছিল নানা প্রশ্ন। প্রথম ওয়ানডেতে মহেন্দ্র সিং ধোনির ধীর গতির ফিফটির পর সেই প্রশ্নগুলো আরও জোরালো হয়েছিল। ধোনি কখনোই এসব নিয়ে মুখ খোলেননি, জবাব দিয়েছেন ব্যাটেই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে ভারতের জয়ের নায়ক তিনিই। দুর্দান্ত দুটি ইনিংসে ভারতকে সিরিজ জিতিয়েছেন সেই চিরচেনা ‘ফিনিশার’ ধোনি। অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলছেন, দলে ধোনির চেয়ে নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেটার আর কেউ নেই।

    গত কয়েক বছরে আগের মতো রান পাচ্ছেন না তিনি, নেমে গেছে স্ট্রাইক রেটও। আগামী বিশ্বকাপের জন্য ধোনির পরিবর্তে ঋশভ পান্টকে নেওয়া উচিত কিনা, সে নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে অনেকদিন হলো। এসব বিতর্কের মাঝেই তিন ম্যাচে ফিফটি করে সিরিজসেরা হয়ে ভারতকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন ধোনি।

    ধোনির এমন প্রত্যাবর্তনে সবচেয়ে বেশি খুশি কোহলিই, ‘দল হিসেবে আমরা ধোনির এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি। তিনি রানে ফিরেছেন, এটা দল ও তাঁর নিজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাব ম্যাচ হোক কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য রানের মাঝে থাকার বিকল্প নেই। আর যখন আপনি শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলছেন, তখন তো এটা আরও জরুরী। টানা তিন ম্যাচে রান করে তিনি ফর্মে ফিরেছেন, এটা নিউজিল্যান্ড সফরেও অব্যাহত থাকবে বলেই আশা করি।'

    ২০১৮ সালে ধোনির ছিল না কোনো হাফ সেঞ্চুরি, গড় ছিল ২৫ এর নিচে। নতুন বছরের শুরুতেই কেটেছে সেই দুরবস্থা। কোহলি মানছেন, দলের মাঝে সবচেয়ে নিবেদিত ক্রিকেটার ধোনি, ‘মাঠের বাইরে অনেকেই অনেক কথা বলেন, অনেক কিছুই ঘটে। কিন্তু আমরা যারা দলে আছি, তাঁরা জানি ধোনি দলের প্রতি কতটুক নিবেদিতপ্রাণ। আমার মনে হয় তাঁকে তাঁর জায়গায় ছেড়ে দেওয়া উচিত। তিনি ভারতের জন্য যা করেছেন সেটা আমরা সবাই জানি। তাই তাঁর আসলে কী করা উচিত, এটা তাঁকেই বুঝতে দিতে হবে।’

    এদিকে ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রী ডেইলি টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ধোনির বিকল্প এখনো কেউ নেই, ‘দলে তাঁর বিকল্প কেউ নেই। এরকম একজন ক্রিকেটার ৩০-৪০ বছরে একবার আসে। তাই আমি সবাইকে বলি, যতদিন সে খেলে সেটা উপভোগ করতে। যখন সে অবসরে যাবে, তখন আমরা তাঁর শূন্যতা বুঝতে পারব। পান্ট ভালো করছে এটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু এখনো সে ধোনির বিকল্প সে হতে পারেনি।’

    ধোনি ফিরেছেন সেই আগের রূপে। ‘ফিনিশার’ ধোনি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ফিরিয়ে আনবেন ২০১১ সালকে, এই আশাতেই বুক বেঁধে আছেন ভারতের সমর্থকরা।