কোহলিকে থামানোর উপায় বাতলে দিলেন পন্টিং
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে সব দলের পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন তিনিই। বিরাট কোহলিকে থামাতে পারলে যে অনেকটাই পিছিয়ে যাবে ভারত, সে কারো অজানা নয়। কিন্তু কোহলি যে ফর্মে আছেন, তাঁকে ঠেকানোর উপায় কি? সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং উত্তরসূরিদের দিলেন কোহলিকে ঠেকানোর বেশ কিছু পরামর্শ। পন্টিং বলছেন, ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন বরাবরই যেভাবে কোহলিকে নাকানি চুবানি খাইয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ান বোলারদেরও সেই পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছিল কোহলির। সেবার ভারত সিরিজ জিতলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন কোহলি। ৯ রান গড়ে তিনি করেছিলেন মাত্র ৪৬ রান, কোনো সিরিজে যা তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে। এরপর থেকেই অবশ্য দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি, ১৬ ম্যাচে করেছেন ৮টি সেঞ্চুরি।
কোহলিকে আউট করার জন্য সবসময়ই বোলারদের মাথা খাটাতে হবে বলে অজিদের মনে করিয়ে দিলেন পন্টিং, ‘সবাইকে দেখতে হবে অতীতে কোহলিকে কীভাবে থামিয়েছে প্রতিপক্ষ। প্রথমেই বলতে হবে অ্যান্ডারসনের কথা, কোহলিকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে সেই। বল যদি সুইং না করে, তাহলে কোহলিকে ফেরানো কঠিন। শুরুর দিকে বাউন্ডারি ফিল্ডার রাখা যায়, ভালো লেন্থে বল করেই যেতে হবে। সে থার্ড ম্যানের দিকের মারতে পছন্দ করে, সেখানে একজনকে রাখা যেতে পারে। এটা তাঁর মাথায় সবসময় ঘুরপাক খাবে। তৃতীয় স্লিপকে একটু সামনে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে, কারণ কোহলি হালকা হাতে উইকেটের পেছনে মারে বেশিরভাগ সময়। সবকিছুর একটাই লক্ষ্য, বুঝিয়ে দিতে হবে যে তাঁকে আটকানোর পরিকল্পনা সবসময়ই করা হচ্ছে। তাহলে ছোটখাটো এসব বিষয় তাঁর মাথায় ঘুরতে থাকবে।’
অস্ট্রেলিয়ানদের স্লেজিং নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে গত কয়েক মাসে। কোহলির বিপক্ষে স্লেজিং চায় না অস্ট্রেলিয়া, জানিয়েছিলেন খোদ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চই। কোহলি নিজেও বলেছেন, এই সিরিজে কথার লড়াই নয়, ব্যাটিংয়ের বেশি মনোযোগ থাকবে তাঁর। পন্টিংও মনে করেন, কোহলির সাথে অযথা তর্কে জড়িয়ে লাভ নেই, ‘তাঁর সাথে আগ বাড়িয়ে তর্কের তো দরকার নেই। মিচেল জনসনের সাথে সেবার তাঁর কয়েকবার কথা কাটাকাটি হয়েছিল, সেটা জনসনের ভালো বোলিংয়ের কারণেই। তবে নিজের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ানরা একদম চুপ থাকবে, এটাও চাই না। আমরাও এটা করিনি, তবে এর আগে ভালো বোলিং করাটা জরুরী। প্রথমে ভালো বোলিং করে কোহলিকে নড়বড়ে করে দিতে হবে, এরপর কথার লড়াইটা হতে পারে।’
পন্টিংয়ের দেওয়া উপদেশ কতটুক কাজে লাগাতে পারেন স্টার্ক, হ্যাজলউডরা, সেটা জানা যাবে ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া অ্যাডিলেড টেস্টেই।