• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    এবার ছিটকে গেলেন কামিন্সও

    এবার ছিটকে গেলেন কামিন্সও    

    পিঠের ব্যথা প্রথম অনুভব করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সময়ই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের ৪র্থ ওয়ানডে খেলার পরই ব্যথার কথা জানালেও সেটা গুরুতর কিছু নয় বলেই মনে করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ পারফর্ম করার সুবাদে প্যাট কামিন্স সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। কিন্তু সেই পিঠের ব্যথাই কাল হয়ে দাঁড়ালো ২০১১ তে একমাত্র টেস্ট খেলা কামিন্সের।

     

     

     

    গতকাল পিঠের এমআরআই রিপোর্টে জানা যায়, পিঠের নিচের দিকের হাড়ে চিড় ধরা পড়েছে কামিন্সের। এ ব্যাপারে অজি দলের ফিজিও ডেভিড বিকলি জানান,”তাঁর পিঠের মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ে চিড় ধরা পড়েছে। ফলে কামিন্স বাংলাদেশ সফরে যেতে পারছে না। সুস্থ হয়ে ফিরতে তাঁকে দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন প্রোগ্রামে থাকতে হবে।” তবে কবে নাগাদ সুস্থ হয়ে উঠবেন সেটা জানা যায় নি। এদিকে ডিসেম্বরে শুরু হওয়া বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্টে তাঁকে পাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে  কামিন্সের দল ‘সিডনি থান্ডার’।

     

     

     

    এদিকে কামিন্সের ইনজুরিতে ভাগ্য খুলেছে অজি অলরাউন্ডার জেমস ফকনারের। কামিন্সের জায়গায় তিনি বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন একটি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। ফকনার সীমিত ওভারে অস্ট্রেলিয়া দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হলেও টেস্ট দলে এখনো সুবিধা করতে পারেন নি। তাই এই সফরে টেস্ট দলে নিজের জায়গা করে নেয়ার ভালোই সুযোগ পেয়েছেন বলা যায়।

     

     

     

    কামিন্সের ইনজুরি আর ফকনারকে দলে নেয়া সম্পর্কে অজি দলের প্রধান নির্বাচক রড মার্শ বললেন,”প্যাটের জন্য এটা সত্যিই দুর্ভাগ্য। সে অস্ট্রেলিয়া দলের ভবিষ্যৎ তারকা। ইংল্যান্ডে তাঁর বোলিংয়ে আমরা অভিভূত ছিলাম। তাঁর জায়গায় আমরা জেমসকে দলে নিয়েছি। সে একজন অসাধারণ বোলার। বাংলাদেশের কন্ডিশনে ফকনার ভালো কাজে দিবে।”

     

     

     

    জেমস ফকনার তাঁর একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি খেলেছিলেন ২০১৩ এর অ্যাশেজ সিরিজে। এই বছরের অ্যাশেজ সিরিজটি মিস করেছিলেন মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর দোষে নিষিদ্ধ হওয়ায়।