শাস্ত্রীর নিয়োগে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ
বিরাট কোহলির সাথে ভারতের সাবেক কোচ অনিল কুম্বলের দ্বন্দ্বটা চলেছে বহুদিন। শেষ পর্যন্ত কোহলির সরাসরি হস্তক্ষেপেই সরে যেতে হয়েছিল কুম্বলেকে, নতুন কোচ হয়েছেন রবি শাস্ত্রী। ঘটনার এক বছর পর বিসিসিআইয়ের বিশেষ পরিচালনা কমিটির সদস্য ডায়ানা এদুজি বলছেন, শাস্ত্রীকে কোচ নিয়োগ দেওয়ার সময় নিয়মভঙ্গ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
দায়িত্ব ছাড়ার আগে কুম্বলের সাথে প্রায় ছয় মাস শীতল সম্পর্ক চলেছে কোহলির। গত বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর কুম্বলের সাথে চুক্তি শেষ হত বিসিসিআইয়ের। এরপর ভারতের নতুন কোচ নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র আহবান করে তাঁরা, কোচ হওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দেন কুম্বলে, শাস্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন। কোচ নিয়োগের জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। সেখানে বোর্ড কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি, শচীন টেন্ডুলকার ও ভিভিএস লক্ষণরাও। কোহলির সাথে তখনকার কোচ কুম্বলের দূরত্ব কমানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা সফল হয়নি। সব আলোচনা শেষে কমিটি কুম্বলেকেই কোচের পদে বহাল রাখার সুপারিশ করে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তে বেঁকে বসেন কোহলি। অনেকটা নাটকীয়ভাবেই কুম্বলের বদলে কোচ নির্বাচিত করা হয় কোহলির পছন্দের তালিকায় থাকা শাস্ত্রীকে। তখন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দলের অধিনায়কের মত নিয়েই তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে কিছুদিন আগে ভারতের মহিলা দলের ক্ষেত্রে ঘটে উল্টো ঘটনা, অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও সহ অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধনার অনুরোধের পড়েও কোচের পদে বহাল রাখা হয়নি ভারপ্রাপ্ত কোচ রমেশ পাওয়ারকে। বিসিসিআইয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য ভিনোদ রায় জানিয়েছিলেন, কোচ নির্বাচনে ক্রিকেটাররা কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন না।
এদুজি এই ঘটনার পর বলছেন, কোহলি যদি নিজের সিদ্ধান্ত দিতে পারেন, তাহলে হারমানপ্রীত কেনো পারবেন না, ‘কোহলি তো কুম্বলের ব্যাপারে নিজের মতামত না দিয়ে থাকেননি। তাহলে মহিলা দলের এই দুইজন কেনো দলের ভালোর জন্য সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না? কোচের ব্যাপারে বোর্ডকে নিজের মতামত জানাতে তো বাধা নেই। বিরাট তো একের পর এক মেইল পাঠিয়েছিলেন বোর্ড প্রধানকে। তাঁর কথা শুনেই বোর্ড প্রধান কোচ পরিবর্তন করেছিলেন।’
নিয়ম অমান্য করেই কুম্বলের পরিবর্তে শাস্ত্রীকে কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, দাবি এদুজির, ‘আমি শুরু থেকেই একটা বিষয় নিয়ে নিজের আপত্তি জানিয়ে আসছিলাম। শাস্ত্রী নির্ধারিত সময়ের পড়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। কুম্বলে একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার, তাঁকে পুরোপুরি ‘ভিলেন’ বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি এসবের জন্যই সরে দাঁড়িয়েছিলেন, তার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাই। নতুন কোচ নিয়োগের সময় অনেক নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছিল, এটা নিয়ে অনেকবার আপত্তি জানিয়েছিলাম।’
এদুজির এসব অভিযোগ নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি কোহলি কিংবা শাস্ত্রীর কেউই।