• অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    প্রথম দিনে একটু হলেও এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া

    প্রথম দিনে একটু হলেও এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া    

    অস্ট্রেলিয়া

    ১ম দিন ১ম ইনিংস শেষে

    অস্ট্রেলিয়া ৯০ ওভারে ২৭৭/৬ (হ্যারিস ৭০, হেড ৫৮, ফিঞ্চ ৫০, মার্শ ৪৫; ইশান্ত ২/৩৫, বিহারি ২/৫৩)


    অ্যাডিলেড যেখানে শেষ, পার্থের যেন সেখানেই শুরু। অ্যাডিলেডের মতো এখানেও প্রথম দিনটা হলো দারুণ ঘটনাবহুল। সবুজ উইকেটটা যেন দুর্বোধ্য এক ধাঁধা, প্রথম দিনেই বল ওঠানামা করল বেশ কয়েকবার। উইকেটের খেয়ালিপনায় উইকেট দিয়ে আসতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদেরও। আবার কোহলি, রাহানেরা দুর্দান্ত ক্যাচে যেমন আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন, তেমনি পান্ট ক্যাচ মিস করে ডুবিয়েছেন হতাশায়। এত কিছুর মধ্যে প্রথম দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরটা খারাপ বলার উপায় নেই। তবে সেটা খুব ভালো হবে কি না, নির্ভর করছে টেল এন্ডারদের ওপর।

    সকালের শুরুটাই ছিল চমক দিয়ে। ভারতের একাদশে চার পেসার, কোনো স্পিনার নেই। দিন শেষে সম্ভবত সেটার জন্য আফসোসও করবেন কোহলি। তবে নতুন বলে পেসাররা ফায়দা নিতে পারেননি একদমই, সকালের প্রথম ঘন্টাতেও থিতু হয়ে গেছেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্কাস হ্যারিস। পরের ঘন্টায় শামিরা একটু ফিরে পেলেও উইকেট আর পাননি। লাঞ্চ পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬৬ রান তুলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।

    কিন্তু পরের সেশনেই বদলে গেল ম্যাচের রং। উদ্বোধনী জুটিতে ১১২ রান ওঠার পর আউট হয়ে গেলেন ফিঞ্চ, নিজের ফিফটির ঠিক পর পরেই। বুমরার ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা লাইন মিস করে হয়ে গেছেন এলবিডব্লু। উসমান খাওয়াজা শুরু থেকেই ছিলেন নড়বড়ে। ৩৮ বলে ৫ রানের ইনিংসটা শেষও হয়েছে কাঁপতে কাঁপতে, উমেশ যাদবের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপার পান্টকে। হ্যারিস অবশ্য স্ট্রোক খেলছিলেন, কয়েকবার স্লিপ=গালিতে ক্যাচ হতে হতেও হয়নি। শেষ পর্যন্ত যে বলে আউট হলেন, তাতে তার খুব বেশি কিছু করারও ছিল না। পার্টটাইম স্পিনার হনুমা ভিহারির দ্বিতীয় ওভার তখন। অফ স্টাম্পের বাইরে বলা আপাতনিরীহ বলটা হুট করেই বাউন্স করল অনেকখানি। হ্যারিসের গ্লাভসে লেগে স্পিনে গেল, ভুল করলেন না রাহানে। উইকেটের দিকে তাকাতে তাকাতে ৭০ রানে মাঠ ছাড়লেন হ্যারিস, শুন্য উইকেটে ১২২ রান থেকে অস্ট্রেলিয়া হয়ে গেল ৩ উইকেটে ১৩৪।

    খানিক পরেই তা ৪ উইকেটে ১৪৮ হয়ে গেল। এবারও অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা কাট করার মতো ছিল না। কিন্তু ইশান্ত শর্মার বলে হ্যান্ডসকম্ব লোভটা সামলাতে পারলেন না। স্লিপে দুর্দান্ত এক লাফে এক হাতে বলটা লুফে নিলেন কোহলি। হ্যান্ডসকম্ব ফিরলেন ৭ রানে।

    এরপর শন মার্শ আর ট্রাভিস হেডের ৮৪ রানের জুটিতে আবার ঘুরে দাঁড়ানো অস্ট্রেলিয়ার। এর মধ্যে মার্শ একবার ক্যাচ দিয়েছিলেন, কিন্তু ২৪ রানে তাঁর ক্যাচটা ধরতে পারেননি পান্ট। ৪৫ রানে সেই বিহারির বলেই রাহানের আরেকটি দারুণ ক্যাচে ফিরলেন মার্শ। অশ্বিন না থাকলেও কাটেনি তাঁর অফ স্পিন জুজু।

    হেড অবশ্য বেশ স্বচ্ছন্দ ছিলেন। কিন্তু ৫৮ রানে মনযোগ হারালেন, ইশান্তের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন ডিপ পয়েন্টে। ২৫১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর পেইন আর কামিন্স কোনো বিপদ হতে দেননি, বাকি দিনটা পার করে দিয়েছেন।