• অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    অস্ট্রেলিয়ান আক্রমণের পর কোহলি-রাহানের প্রতি-আক্রমণ

    অস্ট্রেলিয়ান আক্রমণের পর কোহলি-রাহানের প্রতি-আক্রমণ    

    দ্বিতীয় দিন শেষে

    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ১০৮.৩ ওভারে ৩২৬ ( হ্যারিস ৭০, হেড ৫৮, ফিঞ্চ ৫০; ইশান্ত ৪/৪১, বিহারি ২/৫৩, বুমরাহ ২/৫৩)

    ভারত ১ম ইনিংস ৬৯ ওভারে ১৭২/৩ ( কোহলি ৮২*, রাহানে ৫১*, পূজারা ২৪; স্টার্ক ২/৪২, হ্যাজলউড ১/৫০)

    ভারত প্রথম ইনিংসে ১৫৪ রানে পিছিয়ে


    প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন মাত্র ৩৭ রান। পার্থে যখন ব্যাট করতে নামলেন বিরাট কোহলি, অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলারদের সুইং ও ইয়র্কারে ক্রিজে টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ তখন। সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে ভারত অধিনায়কেরই। মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্সদের হতাশায় ডুবিয়ে পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৮২ রানে অপরাজিত আছেন কোহলি। ৫১ রান করে তাঁকে দারুণভাবে সঙ্গ দিচ্ছেন অজিঙ্কা রাহানে। কোহলি-রাহানে জুটিতে প্রথম ইনিংসে লিডটাও পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে ভারত। 

    চার উইকেট হাতে নিয়ে সকালে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। দিনের শুরুটা ভালোই করেছিলেন টিম পেইন ও প্যাট কামিন্স। ভারতীয় পেসারদের দারুণভাবে সামলে এই জুটি অস্ট্রেলিয়ার স্কোর নিয়ে যায় ৩০০ রানের ওপরে। এই জুটি ৫৯ রান তুলে বেশ চিন্তায় ফেলেছিল কোহলিকে। উমেশ যাদবের দারুণ এক বলে ভেঙেছে সেটা। যাদবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন কামিন্স, রান করেছেন ১৯। দুই বল পরে আউট হন পেইনও। জাসপ্রীত বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে পথ ধরতে হয় তাঁকে। ফেরার আগে পেইন করেন ৩৮ রান। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস খুব বেশিক্ষণ আর স্থায়ী হয়নি। পরপর দুই বলে স্টার্ক ও হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে ৩২৬ রানে ইনিংসের ইতি টানেন ইশান্ত শর্মা। স্টার্ক ও হ্যাজলউড আউট হয়েছেন একইভাবে, দুজনই উইকেটের পেছনে ঋশাভ পান্টের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।

     

     

    ভারতের দুই ওপেনার আবার উপহার দিয়েছেন একরাশ হতাশা। স্টার্ক-হ্যাজলউডের আগুনে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি লোকেশ রাহুল ও মুরালি বিজয়। স্টার্কের দারুণ এক ইনসুইংয়ে বোল্ড হয়েছেন রাহুল, ফেরার আগে করেছেন ২ রান। রানের খাতা না খুলেই আউট বিজয়। হ্যাজলউডের সেই ইয়র্কার কোনো ব্যাটসম্যানই হয়ত ঠেকাতে পারতেন না।

    ৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়েছিল ভারত। কোহলি ও চেতেশ্বর পূজারা প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়েছেন ভালোভাবেই। দুজন মিলে মাঝের সেশনটা পার করেছেন কোনো বিপদ ছাড়াই। পূজারা ব্যাটিং করেছেন তাঁর স্বভাবসুলভ ধীরলয়ে, স্ট্রাইক রেট ছিল ২৫-এরও কম, পুরো ইনিংসে মেরেছেন মাত্র একটি চার। কোহলিও খেলেছেন অনেক দেখেশুনেই। ৭৪ রানের এই জুটি ভাঙ্গে স্টার্কের বলে। গত ম্যাচে দুই ইনিংসেই ফিফটি পাওয়া পূজারা এবার ২৪ রানের মাথায় স্টার্কের বাউন্সারে গ্লাভড হয়ে ধরা পড়েছেন পেইনের হাতে।   

    পূজারা ফিরলেও কোহলিকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন রাহানে। পূজারা-কোহলির চেয়ে তিনি অবশ্য অনেক বেশি আক্রমণাত্মক মুডে ছিলেন। যখন অজি পেসারদের গতি ও বাউন্সার সামাল দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন কোহলি, তখন ক্রিজে নেমেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন রাহানে। স্টার্ক, হ্যাজলউডদের বলে অবশ্য কয়েকবার বিপদও হতেও পারত। তাঁর দেখাদেখি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন কোহলিও।

    কোহলি-রাহানে দুজনেই করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। দিনের শেষভাগে চোখ ধাঁধানো কিছু শট খেলেছেন তাঁরা। আরেকটি সেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে গেছেন কোহলি, সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৮ রান রান দূরে আছেন তিনি। এই জুটি তুলেছে ৯০ রান। অধিনায়ক-সহ অধিনায়কের দুর্দান্ত এই জুটি যদি কালও একইভাবে ব্যাট করে, প্রথম ইনিংসে বড় লিড নেওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ভারত।