• অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    কোহলির ২৫ ছাপিয়ে লায়নের ১৪

    কোহলির ২৫ ছাপিয়ে লায়নের ১৪    

    পার্থ টেস্ট 
    দ্বিতীয় দিনশেষে
    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ৩২৬ ( হ্যারিস ৭০, হেড ৫৮, ফিঞ্চ ৫০; ইশান্ত ৪/৪১, বিহারি ২/৫৩, বুমরাহ ২/৫৩) ও ২য় ইনিংস ১৩২/৪* (খাওয়াজ ৪১*, ফিঞ্চ ২৫) 
    ভারত ১ম ইনিংস ২৮৩ (কোহলি ১২৩, রাহানে ৫১, পূজারা ২৪; লায়ন ৫/৬৭)


    বিরাট কোহলির আরেকটি সেঞ্চুরির পরও প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারেনি ভারত, ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের লেজ অল্পতে ছেঁটে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৩ রানের লিড এনে দিয়েছেন অফস্পিনার ন্যাথান লায়ন। পার্থ টেস্টের তৃতীয় দিনশেষে ৬ উইকেট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৫ রানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। আঙুলে চোট পেয়ে উঠে গেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ, এক্সরেতে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি তার। তবে এ ইনিংসে আবার ব্যাটিংয়ে নামবেন কিনা, সেটা নিশ্চিত নয়। 

    দিনটা ভারতের জন্য কেমন যাবে, সকালে সেটাও ছিল অনিশ্চিত। একদিকে অবিচল ছিলেন কোহলি, অস্ট্রেলিয়ান পেস টলাতে পারেনি তাকে। তবে আরেকদিকটা ছিল নড়বড়ে। আগেরদিনের সঙ্গে কোনও রান যোগ না করেই সকালে লায়নের প্রথম শিকার বনেছেন রাহানে, টসড-আপ ডেলিভারিতে এজড হয়ে। 

    দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পরের ওভারেই ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন কোহলি। এরপর ব্যাট দিয়ে এমন উদযাপন করেছেন, যার অর্থ- ব্যাটই তার হয়ে কথা বলে। সেটা বলছিল ভালই, স্টার্ক-লায়নকে বাউন্ডারিও মারলেন। তবে ভারত অধিনায়কের ইনিংস শেষ হয়েছে বিতর্কের জন্ম দিয়ে। 

     

     

    প্যাট কামিন্সের অফস্টাম্পের বাইরের বলে জোরের ওপর ড্রাইভ করেছিলেন কোহলি, দ্বিতীয় স্লিপে যেটা ঠিকঠাক ধরেছেন বলে দাবি করেছিলেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। অন-ফিল্ড আম্পায়ারের কাছ থেকে যাওয়া সফট ডিসিশনও ছিল আউট, যেটা নাকচ করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণাদি পাননি টিভি আম্পায়ার। কোহলি অবশ্য তাতে খুশি হননি মোটেও, বাউন্ডারির বাইরে গিয়ে তো ছুঁড়ে মেরেছেন হেলমেটও। 

    তাতে অবশ্য কিছু যায় আসেনি অস্ট্রেলিয়ার। কোহলির উইকেট দিয়ে ভারতের লেজ উন্মুক্ত করে ফেলেছে তারা, যে লেজের দৃঢ়তা নিয়ে আছে বিস্তর প্রশ্ন। কোহলির আগেই তার সঙ্গে ৫০ রানের জুটির পর হ্যাজলউডের বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে ফিরেছেন হনুমা বিহারি। ভারত শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৩২ রানে। ৫০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ঋশাভ পান্ট, তবে অস্ট্রেলিয়াকে লিডবঞ্চিত করতে যথেষ্ট হয়নি সেটা। ভারতের শেষ ৫ উইকেটের ৪টিই নিয়েছেন লায়ন, জাসপ্রিত বুমরাহকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৪তম পাঁচ। সঙ্গে হয়তো বাড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের আক্ষেপও, এ ম্যাচে যে স্বীকৃত স্পিনার ছাড়াই খেলছে তারা! 

    পার্থ স্টেডিয়ামের উইকেটে ভাঙন দেখা দিয়েছে এর মাঝেই, বেড়েছে গতিও। ইশান্ত শর্মা ও বুমরাহ কাজে লাগিয়েছিলেন সেটাই, তবে প্রথম উইকেট পেতে ১৮তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ভারতকে। তার আগেই উঠে গেছেন ফিঞ্চ, চা-বিরতির আগে বুমরাহর লাফিয়ে ওঠা বলে তর্জনীতে আঘাত পেয়ে। সেই বুমরাহর বল ছেড়ে দিয়ে পরে বোল্ড হয়েছেন হ্যারিস।

    শন মার্শ ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব ফিরেছেন দ্রুতই, প্রথমজন শামির বলে কট-বিহাইন্ড, পরের জন ইশান্তের বলে এলবিডব্লিউ। মার্শের ক্যাচটা ঠিকঠাক নিলেও উইকেটের পেছনে দিনটা ভাল যায়নি পান্টের। মার্কাস হ্যারিসের আগে অ্যারন ফিঞ্চের দেওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ভারত উইকেটকিপার। 

    একরাশ হতাশা জুগিয়ে ফিরেছেন ট্রাভিস হেডও, শামির অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে ইশান্তের হাতে ধরা পড়েছেন থার্ডম্যানে, ম্যাচে দ্বিতীয়বার এখানে আউট হলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে শামির হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন ইশান্তের বলে। দিনের বাকি সময়টা অধিনায়ক টিম পেইনকে নিয়ে কাটিয়েছেন উসমান খাওয়াজা, যিনি অপরাজিত আছেন ৪১ রানে।