দাপুটে জয়ে সিরিজে ফিরল অস্ট্রেলিয়া
স্কোর
ভারত ২৮৩ ও ৫৬ ওভারে ১৪০ ( রাহানে ৩০, পান্ট ৩০, বিহারি ২৮; লায়ন ৩/৩৯, স্টার্ক ৩/৪৬, হ্যাজলউড ২/২৪)
অস্ট্রেলিয়া ৩২৬, ২৪৩
অস্ট্রেলিয়া ১৪৬ রানে জয়ী
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ- নাথান লায়ন
জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল গতকাল বিকালেই। বিরাট কোহলির ফেরার পর ভারতের জন্য ম্যাচ বাঁচানোটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। ম্যাচ বাঁচাতে হলে ঋশভ পান্ট-হানুমা বিহারিকে করতে হতো অসম্ভব কিছু। অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা সেরকম কিছুই হতে দিলেন না। ভারতের শেষ পাঁচ উইকেট পড়ল মাত্র এক ঘণ্টার মাঝেই। পার্থে ভারতকে ১৪৬ রানে হারিয়ে সিরিজে ফিরল টিম পেইনের অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে এটাই পেইনের প্রথম টেস্ট জয়।
দিনের শুরুর পাঁচ ওভারে বেশ দেখেশুনেই খেলেছেন পান্ট-বিহারি জুটি। প্রথম আঘাত আসে মিচেল স্টার্কের বলে। কিছুটা লাফিয়ে ওঠা বল বিহারির ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে লেগেছিল, সেটা সোজা চলে যায় স্কয়ার লেগে দাঁড়ান মার্কাস হ্যারিসের হাতে। কয়েক ওভার পর ভাঙ্গে পান্টের প্রতিরোধও। এজন্য অবশ্য কৃতিত্বটা পাবেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। নাথান লায়নের বলে মিড উইকেটে শটটা ভালোই মেরেছিলেন পান্ট। বা দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নিয়েছেন হ্যান্ডসকম্ব, পান্ট ফেরেন ৩০ রানে।
দারুণ এক বাউন্সারে স্টার্কের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন উমেশ যাদব। পরের ওভারে কামিন্সের বাউন্সারে পেইনের হাতে ক্যাচ দেন ইশান্ত শর্মা। ওই ওভারেই জাসপ্রীত বুমরাহকেও বাউন্সারে পরাস্ত করেন কামিন্স, নিজেই তাঁর ক্যাচ ধরে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন।
পার্থে এটাই ছিল প্রথম টেস্ট। স্টেডিয়ামের প্রথম টেস্টটা তাই স্মরণীয় করে রাখল স্বাগতিকরা। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর এটাই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট জয়। অন্যদিকে ২০১৮ সালে এই নিয়ে বিদেশের মাটিতে রান তারা করতে নেমে ছয় টেস্টে হারল ভারত। যে সবুজ পিচের জন্য চারজন পেসার খেলিয়েছিলেন বিরাট কোহলি, দলে নেননি কোনো স্পিনার, সেই ম্যাচেই ম্যাচসেরা হলেন লায়ন!
সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা। ২৫ ডিসেম্বর মেলবোর্নে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।