ভেবেচিন্তেই স্পিনার খেলাননি কোহলি
ম্যাচের আগেরদিন পিচ পর্যবেক্ষণে নেমেছিলেন তিনি। পিচের সবুজাভ রূপ দেখে বিরাট কোহলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একাদশে কোনো স্পিনার না রেখে চার পেসার খেলানোর। পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছিল ঠিকই, তবে দিন শেষে সব আলো কেড়ে নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ন। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১৪৬ রানে হারের পর কোহলি অবশ্য স্পিনার না নেওয়ার সিদ্ধান্তকেই সঠিক বলে দাবি করছেন।
চতুর্থ পেসার হিসেবে উমেশ যাদবকে নিয়েছিল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দারুণ বোলিং করে ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছিলেন যাদব। তবে এবার বল হাতে ব্যর্থ তিনি, দুই ইনিংস মিলিয়ে যাদব পেয়েছেন মাত্র দুই উইকেট। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার লায়ন ৮ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
পার্থের সবুজ পিচে স্পিনাররা খুব একটা কার্যকরী হবেন না বলেই ভেবেছিলেন কোহলি, ‘আমরা পিচ দেখার পরপরই স্পিনার না খেলানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পিচ কিন্তু প্রথম তিনদিন আমাদের হিসাব মতোই আচরণ করেছে। পেসারদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, সেটা তাঁরা পেয়েছে। ৯৫ ভাগ পরিকল্পনাই সফল হয়েছে তাদের। আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে চার পেসার খেলিয়েছিলাম, সেটা অনেকটাই পূর্ণ হয়েছে।’
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ইনজুরিতে থাকলেও রবীন্দ্র জাদেজাকে একাদশে নিতে পারতেন কোহলি। কোহলি জানালেন, জাজেদাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল, ‘অশ্বিন ও জাদেজা ব্যাট হাতেও দলের জন্য অনেক করে। আসলে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন ছিল। তবে আমরা সবকিছু বিবেচনাতে রেখেই স্পিনার না খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা জানতাম এই পিচে এটাই আমাদের সেরা একাদশ, শুধু ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি দায়িত্ব দিতে হতো।’
পার্থের দুই ইনিংসেই ফ্লপ ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মুরালি বিজয়। তবুও তাদের ওপর ভরসা রাখছেন কোহলি, ‘তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, বলতে হবে, তাঁরা পারফর্ম করার মতো যথেষ্ট যোগ্যতা রাখে। দল কী চায়, সেটাই তাদের বুঝাতে হবে। তাদের আসলে কী সমস্যা হচ্ছে সেটা নিশ্চয়ই তাঁরা নিজেরাই বুঝতে পারছেন। সবাইকে তাঁর দায়িত্বটা নিতে হবে, এটা তাঁরা দুজন ভালমতোই জানেন।’
তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টেও ইনজুরির জন্য খেলতে পারবেন না ওপেনার পৃথ্বী শ’। তাঁর পরিবর্তে স্কোয়াডে ডাকা হয়েছে আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে। শেষ পর্যন্ত রাহুল ও বিজয় তাদের জায়গা ধরে রাখতে পারেন কিনা, সেটা জানা যাবে ২৫ ডিসেম্বর মেলবোর্নেই।