• অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    হিউজ এখনও আছেন অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমে

    হিউজ এখনও আছেন অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমে    

    অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট আর ঐতিহ্য, দুইয়ের সম্পর্কটা আজকালের নয়। ব্যাগি গ্রিন থেকে অধিনায়কের ব্লেজার বা ড্রেসিংরুমের টিম-সং- ক্রিকেট-সংস্কৃতি অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে একটু আলাদাই। অজিদের ড্রেসিংরুমে আরেকটি রীতির প্রচলন হয়েছে, যেটার সঙ্গে যুক্ত প্রয়াত ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজ। তার সম্মানে সোনালী রঙের একটি জ্যাকেট বানানো হয়েছে, প্রতি টেস্টের পর ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ পান এটি। এই জ্যাকেটে অস্ট্রেলিয়ান প্রতীকের নিচে অঙ্কিত আছে হিউজের টেস্ট ক্যাপ নাম্বার- ৪০৮। প্রতি টেস্টের পর ম্যাচসেরার নামের সঙ্গে ম্যাচে তার পারফরম্যান্স লেখা থাকে এখানে। 

    ভারতের বিপক্ষে পার্থ টেস্টের পর টেলিভিশন ব্রডকাস্টার ফক্সস্পোর্টকে এটি জানিয়েছেন অফস্পিনার ন্যাথান লায়ন। অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হারের পরও দারুণ পারফরম্যান্সের কারণে এই জ্যাকেট ছিল তার কাছে, পার্থ টেস্টে তিনিই হয়েছেন অফিশিয়ালি ম্যাচসেরা। লায়ন জানিয়েছেন এই জ্যাকেটের রীতিটা, “এটা ফিলিপ হিউজের সম্মানে বানানো ম্যান অফ দ্য ম্যাচের জ্যাকেট, তার মৃত্যুর পর থেকেই এটি চালু করেছি আমরা।

    “প্রতি ম্যাচের পর ক্রিকেটাররা ভোট দেয় (কে পাবেন এটা)। আগের ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের কাছে থাকে এটা, পরের ম্যাচ পর্যন্ত এটা থাকে তার কাছেই।

     

     

    “অ্যাডিলেড টেস্টের পর থেকে এটা আমার কাছে আছে, এখন আমার পালা এটা কার কাছে যাবে সেটা ঠিক করার”, বলেছেন লায়ন, “বেশ কয়েকটা কারণে এই জ্যাকেটটা বিশেষ কিছু, আজ যে পাবে সে এটা পরে বারে যাবে, যেটা বিশেষ একটা ব্যাপার।”

    এই জ্যাকেটের তাৎপর্যটা বুঝতে পারছেন লায়নের পূর্বসূরি সাবেক উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্টও, “অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের একজন হারানো বন্ধুর স্মরণে এটা দারুণ একটা ব্যাপার। আর অবশ্যই এখনকার অস্ট্রেলিয়ান দলে তার ঘনিষ্ঠদের কাছে এটা বিশেষ কিছু, যারা ফিল হিউজের সঙ্গে খেলেছে। এই তরুণ ক্রিকেটাররা যে ঐতিহ্য গড়ে তুলছে, সেটা বুঝতে এটা দারুণ একটা উদাহরণ।”

    ২০১৪ সালে শেফিল্ড শিল্ডের এক ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় বাউন্সারে আঘাত পেয়ে পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল হিউজের। দীর্ঘদিন নিউ সাউথ ওয়েলসের হিউজের সতীর্থ ছিলেন লায়ন। মাইক হাসির অবসরের পর থেকে ড্রেসিংরুমে অস্ট্রেলিয়ার টিম-সংয়ের নেতৃত্বও দেন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সেরা অফস্পিনার।