নর্থ লন্ডন ডার্বি জিতে সেমিতে টটেনহাম
আগের ম্যাচে সাউদাম্পটনের কাছে হেরে থেমে গিয়েছিল ২২ ম্যাচের অপরাজিত থাকার যাত্রাটা। কিছুদিন আগেও হারতে ভুলতে বসা আর্সেনাল যেন হারের বৃত্তেই আটকে গেলো। কারাবাও কাপের সেমিফাইনালে নথ লন্ডন ডার্বিতে টটেনহামের কাছে ২-০ গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল উনাই এমেরির দল।
এমিরেটসে ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যেতে পারত আর্সেনালই। ২ মিনিটের মাথায় হেনরিখ মিখিতারিয়ানের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১২ মিনিটে মিখিতারিয়ানের শট ঠেকিয়ে দেন টটেনহাম কিপার। স্রোতের বিপরীতে অবশ্য লিড নেয় স্পার্সই। ড্যালে আলির থ্রু বলে বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন হিউ মিন সন। গোলপোস্টের ছয় গজ দূরত্বে দাড়িয়ে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি। প্রথমার্ধের ঠিক আগে সমতা আনতে পারত আর্সেনাল। অ্যারন রামসির বা পায়ের দারুণ এক শট বাঁচিয়ে দেন গ্যাজানিগা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ড্যালে আলি। হ্যারি কেইনের থ্রু পাসে গোল করে টটেনহামকে আনন্দে ভাসান আলি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়া আর্সেনাল ম্যাচে ফিরতে তখন মরিয়া। তবে দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়ে বলার মতো কোনো আক্রমণই সাজাতে পারেনি তাঁরা। ৮৩ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত টটেনহাম, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের শট পিটার চেক ঠেকিয়ে না দিলে আরও বড় হারের স্বাদ পেতে হতো এমেরিকে।
শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হেরেই লিগ কাপ থেকে বিদায় নিল আর্সেনাল। ২০১০ সালের পর এমিরেটসে জয় পেল টটেনহাম। ২০০৮ সালের পর আবার তাদের কাছে হেরেই লিগ কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আর্সেনাল। গত আগস্টে এমেরির দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা দুই ম্যাচ হেরেছিল তাঁরা, চার মাস পর আবার টানা দুই ম্যাচে হারতে হলো আর্সেনালকে।
এদিকে সেমিতে টটেনহামের সঙ্গী হয়েছে চেলসি। এডেন হ্যাজার্ডের একমাত্র গোলে বোর্নমাউথকে হারিয়েছে তাঁরা। পুরো ম্যাচে বহুবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না চেলসি। অবশেষে ৮৪ মিনিটে এমারসনের পাশে বল পেয়ে গোল করেন হ্যাজার্ড। ৯৬ মিনিটে অলআউট অ্যাটাকে যাওয়া বোর্নমাউথ ম্যাচে সমতা আনার খুব কাছে চলে গিয়েছিল। ক্যালাম উইলসন ও স্টিভ কুকের দুটি শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দিয়ে চেলসিকে সেমিতে নিয়ে যান আরিজাবালাগা।
সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও বুর্টন। দ্বিতীয় সেমিতে লড়বে টটেনহাম ও চেলসি।