ফলো-অন চোখ রাঙাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে
স্কোর
তৃতীয় দিন শেষে
অস্ট্রেলিয়া ৮৩.৩ ওভারে ২৩৬/৬ ( হ্যারিস ৭৯, ল্যাবুশেন ৩৮, হ্যান্ডসকম্ব ২৮*; যাদব ৩/৭১, জাদেজা ২/৬২)
ভারত ১৬৭.২ ওভারে ৬২২/৭ ডিক্লে।
অস্ট্রেলিয়া ৩৮৬ রানে পিছিয়ে
দ্বিতীয় দিনের শেষে পাহাড় সমান রানের চাপায় পিস্ট ছিলেন তাঁরা। সিরিজে সমতা ফেরাতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের দারুণ কিছুই করে দেখাতে হতো। সেটা তো হলোই না, উল্টো তৃতীয় দিন শেষে ভারতের স্পিনারদের দাপটে টিম পেইনের দলকে চোখ রাঙাচ্ছে ফলো-অন। কুলদিপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজার স্পিন জাদুতে চার উইকেট হাতে নিয়ে এখনো ভারতের চেয়ে ৩৮৬ রানে পিছিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রতিরোধ যা করেছেন সেটা শুধু মার্কাস হ্যারিসই। তিনি ছাড়া খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি কেউই। ওপেনিং জুটিতে উসমান খাওয়াজাকে নিয়ে হ্যারিস তোলেন ৭২ রান। সকালের প্রথম ঘণ্টাটা দেখেশুনে খেললেও এরপর খানিকটা আক্রমণাত্মক মুডে ব্যাটিং শুরু করেন খাওয়াজা। কাল হয়েছে সেটাই, যাদবের বলে ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে চেতেশ্বর পূজারার হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
খাওয়াজার মত মাথা গরম করেননি হ্যারিস, খেলছিলেন ধীরে সুস্থেই, পেয়েছেন ফিফটিও। লাঞ্চ পর্যন্ত আর বিপদ হতে দেননি তিনি ও মার্নাস ল্যাবুশেন। এই বিরতিতেই ভাঙ্গে হ্যারিসের ধৈর্য। নিজের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে ২১ রান দূরে থাকতে বোল্ড হন জাদেজার বলে। এই সেশনে পড়েছে আরও তিন উইকেট। ৮ রান করা শন মার্শ জাদেজার বলে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে দাঁড়ান রাহানের হাতে। মার্শের ফেরার দুই ওভার পরেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ল্যাবুশেনও। মোহাম্মদ শামির বলে অন ড্রাইভ করেছিলেন, মিড উইকেটে দাঁড়ান রাহানে সুপারম্যানের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন।
ল্যাবুশেন ফেরার পর কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দিয়েছিলেন এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা ট্রাভিস হেড ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব। দুজনের ৪০ রানের জুটি কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছিল অজিদের। ২০ রান করা হেডকে ফিরিয়ে সেটা নিভিয়ে দেন যাদব। ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়েছিলেন হেড, বল সোজা চলে যায় যাদবের হাতেই। পরের ওভারে পেইনকেও ফেরান তিনি। ৫ রানে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বোল্ড হলে ২০০ রানের আগেই ছয় উইকেট হারায় দল।
দিনের শেষভাগে প্যাট কামিন্স কিছুটা আগ্রাসী মুডে ব্যাট করেছেন। ছয়টি চার মেরে ২৫ রানে অপরাজিত আছেন তিনি, হ্যান্ডসকম্বও আছেন ২৮ রান করে। দিনের খেলার ১৬ ওভার বাকি থাকতেই বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় খেলা। ফলো-অন এড়িয়ে ম্যাচ বাঁচাতে অবিশ্বাস্য কিছুই করে দেখাতে হবে ব্যাটসম্যানদের।