• ইংলিশ লিগ কাপ
  • " />

     

    কেইনের গোলে ফাইনালের পথে টটেনহাম

    কেইনের গোলে ফাইনালের পথে টটেনহাম    

     

    ২৪ মিনিটে চেলসি রক্ষণভাগ ভেদ করে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন টটেনহাম অধিনায়ক হ্যারি কেইন। শট নেওয়ার আগেই তাকে ফাউল করেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবাগালা। এরপর পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর ভিএআরের সাহায্য নিলেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন তিনি, যদিও দেখা গেছে কেইন কিছুটা অফসাইড পজিশনেই ছিলেন। বিতর্কিত সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি কেইন। ভিএআরের সাহায্যে পাওয়া কেইনের একমাত্র গোলেই কারাবাও কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে চেলসিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে টটেনহাম।

    ওয়েম্বলিতে শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসেছিল দুই দলই। ৫ মিনিটে কেইনের শট ঠেকিয়ে দেন আরিজাবাগালা। দুই মিনিট পরেই চেলসির আক্রমণ, ক্যালাম হাডসন ওডোইয়ের শট ঠেকান গ্যাজানিগা। ২০ মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডকেও হতাশ করেন তিনি। এর চার মিনিট পরেই পেনাল্টি পায় টটেনহাম। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কেইন। দলের হয়ে ২৫টি পেনাল্টি নিয়ে ২১টিতেই গোল করলেন কেইন। শেষ ছয় ম্যাচের সবকয়টিতেই গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি। ৪০ মিনিটে এনগোলো কান্তের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত টটেনহাম, ৪৭ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের শট ঠেকিয়ে দেন আরিজাবালাগা। ৫২ মিনিটে কেইনের শটও বাঁচিয়ে দিয়েছেন তিনি। দুই মিনিট পর কান্তের শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়ে টটেনহামকে এগিয়ে রাখেন গ্যাজানিগা। এরপর তেমন কোনো গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলই।

    ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে টটেনহাম। ১৯৬৩ সালের পর এই প্রথম সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে চেলসির বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে জিতল তারা। এই মৌসুমে ওয়েম্বলিতে টটেনহামের বিপক্ষে দুই দেখায় দুটিতেই হেরেছে চেলসি। ২৪ জানুয়ারি স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে হবে সেমির দ্বিতীয় লেগ।