• ইংলিশ লিগ কাপ
  • " />

     

    ইংলিশ রেফারিরা ভিএআরের ব্যবহার জানে না: সারি

    ইংলিশ রেফারিরা ভিএআরের ব্যবহার জানে না: সারি    

     

    ম্যাচের তখন ২৪ মিনিট। চেলসির রক্ষণভাগ ভেদ করে বক্সে ঢুকে পড়লেন টটেনহামের হ্যারি কেইন।  ডিফেন্ডাররা অফসাইডের আবেদন করলেও খেলা চালিয়ে যান রেফারি। কেইন শট নেওয়ার আগেই এগিয়ে এসে তাকে ফাউল করলেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। তবে ফাউলের শিকার হওয়ার আগে কেইন অফসাইড ছিলেন কিনা, সেটা তখনও স্পষ্ট হয়নি। কেইনের একমাত্র গোলেই ইংলিশ লিগ কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরেছে চেলসি। রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ চেলসি কোচ মাউরিসিও সারি বলছেন, ইংলিশ রেফারিরা ভিএআর ব্যবহার করতেই জানেন না।

    পেনাল্টি দেওয়া নিয়ে রেফারির সাথে মাঠেই তর্ক বাধে চেলসি ফুটবলারদের। কেইনের ওই বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলেই সেমির প্রথম লেগে হারতে হয়েছে চেলসিকে। কেইন যে অফ সাইড ছিলেন, সেটার প্রমাণ হিসেবে ম্যাচ শেষে দলের কর্মকর্তাদের ল্যাপটপ নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে আসেন সারি।

    প্রিমিয়ার লিগে না থাকলেও কারাবাও কাপ ও এফ এ কাপে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিএআর। আগেও এই ভিএআর নিয়ে উঠেছে অনেক প্রশ্ন। কেইন অফসাইড ছিলে বলেই দাবি সারির, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আমাদের ক্যামেরাতে দেখলাম কেইন অফ সাইড ছিল। এটা পরিষ্কার অফসাইড ছিল। কেইনের মাথা, হাঁটু সবই অফসাইড পজিশনে ছিল। লাইন্সম্যান অফসাইড দেননি, এটাই আমাদের ডিফেন্ডারদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এজন্যই কেইন এগিয়ে যেতে পেরেছে ডিফেন্ডারদের মধ্য দিয়ে।’

    সারি তো বলেই দিলেন, ইংলিশ রেফারিরা এই পদ্ধতির সঠিক ব্যবহার জানেন না, ‘ইংলিশ রেফারিরা ভিএআর ব্যবহার করতে জানেন না। যদি আপনি পদ্ধতিটা নিয়ে নিশ্চিত না থাকেন, তাহলে এটা ব্যবহার করা উচিত নয়। লাইন্সম্যানের উচিত ছিল বলের পেছনে শেষ পর্যন্ত দৌড়ানো। কিন্তু তিনি মাঝপথেই থেমে গিয়েছিলেন। ডিফেন্ডাররা সবাই জানত এটা অফসাইড। ভিএআর নিয়ে এখানকার রেফারিদের আরও জানতে হবে।’

    ইংল্যান্ডের রেফারিরা নিশ্চয়ই সারির কথাগুলো শুনছেন!